স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেলে প্রথম টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট: October 28, 2023 |
inbound8418971047548407093
print news

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেল উদ্বোধনের পর টোল দিয়ে সেই সুড়ঙ্গ পথে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে তিন মিনিটে আনোয়ারায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর পর আতশবাজি ফোটানো হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

এরপর গাড়িতে চড়ে টানেল ধরে রওনা হন আনোয়ারা প্রান্তে। পেছনে অনেকগুলো বাসে ছিলেন তার সফরসঙ্গীরা।

টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে পৌঁছে প্রথম যাত্রী হিসেবে সেখানে টোলে দেন সরকারপ্রধান। টোল কালেক্টর ঝুমুর আক্তার প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে টাকা নিয়ে রশিদ দিলে হাত তুলে তা দেখান শেখ হাসিনা।

টানেলের আনোয়ার প্রান্তে বেরিয়ে নদীতে আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে কোরিয়ান ইপিজেড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন।

এ টানেলের মাধ্যমে শিল্পঘেরা কর্ণফুলীর দুই পাড়ের মধ্যে যোগাযোগ সহজ হচ্ছে, সংযোগ হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের। তাতে গতি পাবে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য।

9k=

কর্ণফুলী নদীর একপাড়ে বন্দর নগরী, অন্যপাড়ে আনোয়ারা উপজেলার শিল্প এলাকা। ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ার উচ্চাভিলাসী লক্ষ্য নিয়ে বানানো এই টানেলের মাধ্যমে এই দুই পাড় যুক্ত হল। পথ খুলল বিশ্বমানের যোগাযোগের।

চট্টগ্রাম বন্দর নগরীকে চীনের সাংহাই এর আদলে গড়ে তোলার যে উচ্চভিলাসী লক্ষ্য সরকারের ছিল, তার একটি বড় পদক্ষেপের বাস্তবায়ন হল নদী তলদেশে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে।

উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড) মাঠে এক জনসভা স্থলের উদ্দেশ্যে যাবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা এ সমাবেশের আয়োজন করছে। সেখানে ভাষণ দেবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে বন্দর নগরীকে সাজানো হয়েছে মনোরম সাজে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে নগরী ও আনোয়ারা প্রান্তের রাস্তাঘাট।

২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর চীনা কোম্পানি ‘চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানির’ সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ সেতু বিভাগ।

কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তুলতেই এই প্রকল্প।

৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই টানেলে প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার।

টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম ও প্রান্তে থাকছে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। এছাড়া ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ওভারব্রিজ রয়েছে আনোয়ারা প্রান্তে।

নদীর তলদেশ থেকে টানেলের সর্বোচ্চ গভীরতা ৩১ মিটার। টানেলে আছে বিপরীতমুখী দুটি টিউব।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর