স্ত্রীর দেওয়া আগুনে অগ্নিদগ্ধ স্বামী এখলাছের মৃত্যু


মো: হুমায়ুন কবির, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
স্ত্রীর দেওয়া আগুনে অগ্নিদগ্ধ হওয়া স্বামী নেত্রকোনার কেন্দুয়ার এখলাছ উদ্দিন মারা গেছে।
শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট তার মৃত্যু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের এখলাছ উদ্দিনের শ্বশুর বাড়ি সুতিয়ারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধ একলাছ উদ্দিন (৩৫) কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়েনের পাছহার গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার এখলাছের চাচাতো ভাই কসিম উদ্দিন মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অগ্নিদগ্ধ একলাছ উদ্দিন এর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মদন থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ৬ বছর আগে পারিবারিক ভাবে মুক্তা আক্তার কে বিয়ে করেন এখলাছ উদ্দিন। বিয়ের কিছুদিন পরেই তিনি মালেয়েশিয়া চলে যান।
সেখান থেকে আবার সৌদি আরব যান। বিদেশ থাকা অবস্থায় তার রোজগারের টাকা স্ত্রীকেই পাঠাতেন বলে জানা যায়।
এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ এখলাছ উদ্দিন মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিও রেকর্ডে বলেন, সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে স্ত্রীর কাছে টাকার হিসেব চাইলে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়।
পরে তিনি তার স্ত্রীর আত্মীয় স্বজনদের সহযোগিতা কামনা করেন। তারপরেও বিষয়টি সমাধান হয়নি।
এর পর এখলাছ মিয়ার গত রোববার শ্বশুর বাড়িতে গেলে, পরদিন সকালে স্ত্রী মুক্তাসহ পরিবারের লোকজন সোমবার( ১৩ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে এখলাছকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
মদন থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, অগ্নিদগ্ধ এখলাছ উদ্দিনের চাচাতো ভাই কসিম উদ্দিন বুধবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আগামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।