ঠাকুরগাঁওয়ে এলজিইডির যোগসাজসে নিম্নমানের ইটে সড়ক নির্মাণ

আপডেট: July 14, 2024 |
inbound1441032227990395611
print news

জাহাঙ্গীর আলম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক নির্মাণের কাজে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার ও দীর্ঘদিন ধরে ধীর গতিতে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে মের্সাস তন্ময় ট্রের্ডাস নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

এঘটনায় উপজেলা প্রকৌশলকে অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন ব্যব্যস্থা না নেয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, খোয়া পরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাস্তায় ইট ভাটার রাবিশ, দুই ও তিন নম্বর নিন্মমানের ইট দিয়ে খোয়া করে রাস্তায় দেওয়া হয়েছে। খোয়ার মান নিয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ তুললেও কর্ণপাত করেনি ঠিকাদার ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাটি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ী এলাকায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার এলজিইডির কর্মকর্তাদের যোগসাজসে রাস্তায় পাকাকরণে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী, ইট ও বালী ব্যবহার করছে।

জানা গেছে, আই আর আইডিপি প্রকল্পের আওতায় ভাংবাড়ী হতে মহলবাড়ী পর্যন্ত ৫০০ মিটার রাস্তা নির্মাণ কাজ গত বছরের ২৩ নভেম্বর উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দীন আহম্মেদ।

ভাংবাড়ী ক্লিনিক হতে মধ্যে পাড়া পর্যন্ত ৫০০ মিটার রাস্তা পাকা করণের টেন্ডার আহ্বান করে এলজিইডি। ৫১ লাখ ৬৩ হাজার টাকায় কাজটির পাই তন্ময় এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এর পর নিন্মমানের সামগ্রী দিয়েই শুরু হয় কাজ। তবে গতবছরের ১৩ জুলাই শুরু হওয়া কাজটি চলতি মাসের ৫জুলাই এলজিইডিকে বুঝে দেওয়ার কথা ছিলো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

স্থানীয় বাসিন্দা দরিমুল বলেন, ‘রাস্তাটিতে প্রথম থেকেই নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। রাস্তার কাজ শেষ না হতেই ভেঙে গেছে।

যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে রোলার মেশিন দিয়ে রোলিং করার পরে ইট পাউডার হয়ে গেছে। এভাবে রাস্তা করার চেয়ে না করায় ভালো।

রফিকুল বলেন, রাস্তাটিতে যেভাবে কাজ করা হয়েছে, এভাবে কাজ করলে রাস্তাটি বেশিদিন টিকবে না। তিন নম্বর ইট এনে খোয়া বানিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।

inbound7563481300326718480

আমরা মানা করা সত্ত্বেও ঠিকাদারের লোকজন ক্ষমতা দেখিয়ে তারা ওই ইটের খোয়া ব্যবহার করেছে। তাঁরা বলছে এলজিউডি সব জানে। তাদের নির্দেশে আমরা কাজ করছি। কিছু বলার থাকলে এলজিইডিকে বলেন।

এবিষয়ে ঠিকাদার তন্ময়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ভাল কাজ করেছি। নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে কি না এটা দেখবে এলজিইডি।

এব্যাপারে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়ে জানান, আমরা চেস্টা করি ভালভাবে কাজ বাস্তবায়ন করে নেয়ার।

ঘটনাস্থল পরির্দশন করে দেখার পর বলা যাবে কি হয়েছে। পরবর্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর