তিস্তার পানি বিপদ সীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

আপডেট: September 29, 2024 |
inbound2863034198363603531
print news

রেজাউল ইসলাম, হাতীবান্ধা প্রতিনিধি: উজানের ঢল ও দুদিনের টানা বৃষ্টিতে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করেছে।

এর মধ্যে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি উঠে পড়েছে। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

শনিবার সকাল ০৬ টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ মিটার।

যা বিপৎসীমার ০৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন।

তিনি বলেন, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।

পানির চাপ কমাতে এর মধ্যেই তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৭-৮টি চর ও পার্শবর্তী কালীগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলার কয়েকটি চর এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে শঙ্কায় আছেন স্থানীয়রা।

এরই মধ্যে চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। এসব এলাকায় বসবাসরত মানুষজন চরম বিপাকে পড়েছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এর মধ্যেই ১ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার সারাদিনই টানা বৃষ্টিপাতের পর শনিবারও থেমে-থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

এদিকে অতিভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে গত দুইদিনে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পেয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর