বর্ষবরণ হবে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’, মঙ্গল শোভাযাত্রার নামেও আসছে নতুন পরিবর্তন!

আপডেট: March 23, 2025 |
inbound5616101283292688064
print news

এ বছর প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারোসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি নিয়ে একটি সার্বজনীন অন্তর্ভুক্তিমূলক উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

প্রতিবছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পহেলা বৈশাখের সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হওয়ার কথা রয়েছে, তবে শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি জানান, এই শোভাযাত্রার নতুন নাম কী হবে তা সোমবারের এক সভায় ঠিক করা হবে।

ফারুকী বলেন, “এবারের শোভাযাত্রায় বাঙালি ছাড়াও চাকমা, মারমা, গারোসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতির প্রতিফলন থাকবে। তাই নামকরণে এমন কিছু রাখা হবে, যা সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা আর শুধু বাঙালির নয়, এটি সকল জাতিগোষ্ঠীর মিলনমেলা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যেহেতু চাকমারা এটি ‘বিজু’, মারমারা ‘সাংগ্রাই’ এবং গারোরা ‘ওয়াংগালা’ বলে থাকে, তাই শোভাযাত্রার নামের মধ্যে এই সংস্কৃতিগুলোর স্বাতন্ত্র্য ও ঐতিহ্যকে জায়গা দেওয়া হবে।”

এবারের শোভাযাত্রা ইউনেসকো কর্তৃক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত হওয়ায়, নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে কোনো আপত্তি জানাবে না বলে মনে করেন ফারুকী। তিনি আরও বলেন, “এটি আরও ইনক্লুসিভ হবে, যা ইউনেসকোর কাছে স্বাগত বিষয় হবে।”

এছাড়া, চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে ‘রক কনসার্ট’, যেখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ব্যান্ড দল পারফর্ম করবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে বাংলার বাউল ও ফকিররা গান পরিবেশন করবেন।

১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ড্রোন শোও অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে। চাইনিজ অ্যাম্বেসির সহযোগিতায় এই ড্রোন শোয়ে সংসদ ভবনের ওপর আকাশে বিভিন্ন আকৃতি তৈরি হবে।

এছাড়া, এবার বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় বরাদ্দের অর্থ দ্বিগুণ করা হয়েছে এবং বিশেষভাবে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর উপসনাকেন্দ্রিক এলাকায় বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর