লেমুর চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

আপডেট: April 9, 2025 |
inbound2233929834638551289
print news

মাসুদ পারভেজ, গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের সাফারি পার্ক থেকে লেমুরের মতো দুর্লভ প্রাণী চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

৯ এপ্রিল (বুধবার) দুপুরে সাফারি পার্ক পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “এভাবে দুর্লভ প্রাণী কীভাবে চুরি হলো, তা খুঁজে বের করতে হবে।

দায়িত্বপ্রাপ্তদের, বিশেষ করে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা দরকার। একই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে, অথচ এসব জায়গা এখনো সিসিটিভির আওতায় আনা হয়নি—এটা প্রশ্নবিদ্ধ।”

তিনি আরও বলেন, “যখন আপনি ঘটনার ১৪ দিন পর মামলা করেন, তখন চুরি যাওয়া প্রাণী ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

আজ পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র বাংলাদেশকে বন্যপ্রাণী পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।”

উপদেষ্টা বলেন, “সাফারি পার্ক কোনো সাধারণ চিড়িয়াখানা নয়। এখানে প্রাণীগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশের কাছাকাছি রেখে দর্শনার্থীদের তা উপভোগ করার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে হাতিশালা, জাগুয়ার ও লেমুর বেষ্টনীতে সেই উপযুক্ত পরিবেশ নেই বলে জানান তিনি।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “একই স্থান থেকে টিয়া, ময়না পাখি হারায় না যখন লেমুর হারিয়ে যাচ্ছে—এর মানে স্পষ্ট, এখানে একটি বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে। সেটি চিহ্নিত করতে হবে।”

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “পার্কের ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করতে হবে। এটি প্রাণীবান্ধব ও দর্শনার্থীবান্ধব করতে হবে। এখানকার কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার ঘাটতির পাশাপাশি জনবল সংকটও রয়েছে।”

পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মো. যাবের সাদেক, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক সানাউল্লাহ পাটোয়ারী, সেন্ট্রাল সার্কেলের বন সংরক্ষক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন এবং সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর