গ্রেপ্তারের জন্যই মামলা বানানো হয়েছিল: বেরোবি শিক্ষক

আপডেট: June 24, 2025 |
inbound4212134972727090783
print news

বেরোবি প্রতিনিধি: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলাটাই আমার একমাত্র অপরাধ। আমাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে মামলা তৈরি করা হয়েছে”—এভাবেই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহা. মাহামুদুল হক।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “যে হত্যা মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি আসলে হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছিলেন। মামলাটি সাজানো এবং উদ্দেশ্যমূলক।”

দুদিন আগে জামিনে মুক্তি পাওয়া মাহামুদুল হক দাবি করেন, “আমার বিরুদ্ধে একটি সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান নেওয়ার পর থেকেই তারা আমাকে টার্গেট করে।

আমি যখন তৎকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে ৭৯০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রকাশ করি এবং পতাকা অবমাননার ঘটনায় মামলা করি, তখন থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।”

তিনি বলেন, “ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রোগ্রাম শেষে বাসায় ফিরি। আমার ছেলে ও আমি বাসায় ছিলাম।

হঠাৎ সাদা পোশাক ও ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ বাসায় এসে আমাকে জানায়, আমি মামলার ৫৪ নম্বর আসামি।

অথচ মামলা ছিল হাজিরহাট থানায়, কিন্তু আমাকে নিয়ে যাওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়।”

মাহামুদুল আরও জানান, “এর আগে মানিক হত্যার ঘটনায়ও আমাকে হয়রানি করা হয়েছিল। সেখানে আমি ১৯ নম্বর আসামি ছিলাম।

এখন স্পষ্ট বুঝতে পারছি—দীর্ঘদিন ধরে আমি যে অধিকার, ন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি, সেটিই আমার ‘অপরাধ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি দুটি দাবি উত্থাপন করেন—

১. দুটি মামলায় তার নাম প্রত্যাহার করতে হবে।

২. হাজিরহাট থানার ওসিকে বরখাস্ত করে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে এবং এই ষড়যন্ত্রে কারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর