মাদক ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে গণ সচেতনতাসহ প্রশাসনকে কঠোর থাকতে হবে

আপডেট: September 30, 2020 |
adddss
print news

যাবতীয় ভাল কাজের মূলে সত্যবাদিতা উদাহরণ স্বরূপ কথাবার্তায় সত্যবাদিতা, সংকল্প বাস্তবায়নে সত্যবাদিতা, আদর্শ ও উদ্দেশ্যে সত্যবাদিতা ইত্যাদি। একজন মানুষ যখন সত্যবাদি হতে চেষ্টা করে এবং সত্য অনুসন্ধানে ব্রতী হয় তখন সে একদিন তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। বিপরীতে মিথ্যা, ইহা প্রথমে তার ভাষায় অতঃপর তার অন্তরে প্রতিফলন ঘটে। যার প্রভাবে তার যাবতীয় কাজে পতন ঘটে। মানুষকে সম্যক জ্ঞান দিয়ে সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্টত্ব দান করেছে। এতে তার মত প্রকাশের শক্তি প্রদান করেছে। একজন আদর্শবান মানুষ কখনো সত্য ও ন্যায়ের পথ ছেড়ে অন্যায় ও অসত্যের পথ অবলম্বন করবে না।
সকল ধর্মেই নারী-পুরুষ নির্ধারিত বয়সের মধ্যে উভয়ের সম্মতিক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

এ সংক্রান্ত ব্যাপারে রাষ্ট্রের নির্ধারিত রীতি-নীতি মানার নিয়ম রয়েছে। নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যে যৌন উত্তেজনা অনুভব মনে করলে তবে তার জন্য বিবাহ সুন্নত। কিন্তু ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আশংকা করলে বিবাহ করার ওয়াযিব। কোন নারীর প্রতি কু-দৃষ্টি দেওয়া হারাম। অনুরূপভাবে বয়স্ক নারী ও দাড়ী বিহীন কিশোরের প্রতি কামভাব করাও হারাম এছাড়া কোন নারীর সাথে নির্জন হওয়াও হারামের অন্তর্ভূক্ত। কোন জন্তুকে দেখে যদি যৌন উত্তেজনা অনুভব হয় তাহাও হারাম।

বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী লেবাসধারী ধর্মগুরু এ সব যৌনকর্মের সাথে জড়িত যার প্রমান অসংখ্য রয়েছে তাদের অপরাধ ঢাকা পড়ে যায় ভক্তকূল রাষ্ট্রের বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত থাকায় প্রায় তারা ছাড় পেয়ে যায়। একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে- সরিষাভূত সাড়াবে, কিন্তু সরিষা সাড়াবে কে ? প্রতিদিন খবরের কাগজ খোলতেই চোখে পড়ে একাধিক লোমহর্ষক ধর্ষন হয়েছে। আর ধর্ষিতা উপায়ান্ত না পেয়ে প্রতিকারের আশায় স্থানীয় প্রশাসনের শরাণাপন্ন হয়। আবার কেউ লজ্জায় মান সম্মানে দিক লক্ষ্য করে চুপচাপ নীরবেচ কাঁদে। কোন কোন থানায় নিরীহ মানুষের অভিযোগ গ্রহণ করে না।

কারণ ধর্ষকরা রাষ্ট্রের রাজনৈতিক দলে ছত্রছাঁয়া চলে বলে প্রশাসন তাদের কথার বাহিরে চলে না। এখন বিপদ শুধুমাত্র নিরীহ প্রজাদের, তাদের দেখার কেউ নাই? এভাবে রাষ্ট্র চলতে পারে না। একই ভাবে মাদক আজ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে আগ্রাসিত করছে। কেন এই আগ্রাসন ? রাষ্ট্রের স্তরে স্তরে প্রশাসনের কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। সেই প্রজাদের কষ্টের অর্থের দ্বারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অগোচরে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কিভাবে টিকে থাকে ইহা প্রশ্নবোধক ? যদি দল মত নির্বিশেষে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণ সচেতনতাসহ প্রশাসনকে ক্রমান্বয়ে কার্যকর ভূমিকা ও বিদ্যালয়ের পাঠ্য পুস্তকে এ ২টি বিষয়ে সহজভাবে কার্যকর প্রয়োগ করতে পারলে দেশের সর্বস্তরে উন্নয়ন সম্ভব। নতুবা দেশ ও জাতির মেরুদন্ড একদিন ধ্বংস হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। মাদক ও ধর্ষন নির্মূল করার লক্ষ্যে এখনই প্রয়োজন একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ৭১ এর মত আর একটি সোনালী যুদ্ধ ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করি। আল্লাহ্ সহায় হউন।

এম. ছানাউল্লাহ

সাবেক কোম্পানী সার্জেন্ট মেজর (বি.এন.সি.সি)

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর