আইএস জঙ্গী গোষ্ঠীর জার্মান নারী সদস্যকে ১০ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট: October 25, 2021 |

পাঁচ বছর বয়সী একটি ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মেয়েকে ক্রীতদাস হিসেবে রাখা এবং প্রখর রোদে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় বেঁধে ফেলে রেখে হত্যাচেষ্টার অপরাধে এক জার্মান ধর্মান্তরিত মুসলমানকে সোমবার ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালতে এ-ও প্রমাণ হয় যে- ওই নারী ইরাকে চরমপন্থী ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন।

মিউনিখের উচ্চ আঞ্চলিক আদালত ৩০ বছর বয়সী জেনিফার ডাব্লিউ নামে ওই নারীকে বিদেশে একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হওয়া, হত্যাচেষ্টা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের প্ররোচনা- ইত্যাদি বিষয়ে দোষী সাব্যস্ত করে।  জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ এ তথ্য জানায়।

ফেডারেল কৌঁসুলিরা লোয়ার স্যাক্সনির লোহনে থেকে আসা ওই নারীর বিরুদ্ধে ‘ইরাকের পাশে দাঁড়ানোর’ অভিযোগ করেন। ওই নারীর তৎকালীন স্বামী ইয়াজিদি মেয়েটিকে একটি উঠোনে বেঁধে রেখেছিল এবং সে তৃষ্ণায় মরতে বসেছিল।

সোমবার বিচারক জোয়াকিম বেয়ার বলেন, শিশুটি ‘অরক্ষিত এবং অসহায়ভাবে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল’। সূর্যের তাপে বেঁধে রাখা শিশুটি বিপদের মধ্যে ছিল। ওই নারী মেয়েটিকে সাহায্য করার জন্য কিছুই করেননি- যদিও এটি তার জন্য ‘সম্ভব ও যুক্তিসঙ্গত’ ছিল।

অভিযুক্ত জেনিফার ডাব্লিউ একজন প্রোটেস্ট্যান্ট হিসেবে বড় হন। কিন্তু ২০১৩ সালে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

জার্মান গণমাধ্যম জানিয়েছে, তিনি ২০১৪ সালে আইএস-এ যোগ দিতে তুরস্ক ও সিরিয়া হয়ে ইরাকে যান। ২০১৫ সালে চরমপন্থী গোষ্ঠীর ‘নৈতিকতা পুলিশের’ সদস্য হিসাবে তিনি ফালুজা এবং মসুলের পার্কে টহল দিতেন। তিনি নিজেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি পিস্তল এবং একটি বিস্ফোরক জ্যাকেট দিয়ে সজ্জিত করতেন।

২০১৬ সালে আঙ্কারায় জার্মান দূতাবাসে তার পরিচয়পত্র পুনর্নবীকরণ করার চেষ্টা করার সময় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয় এবং তাকে জার্মানিতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
সূত্র : মেইল অনলাইন

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর