আফগানিস্তানে ছড়িয়ে পড়ছে আইএস-কে
আফগানিস্তানে নিজেদের ভিত শক্ত করছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএস-কে)। খোরসান প্রদেশ ছাড়িয়ে এই জঙ্গিগোষ্ঠী আফগানিস্তানের প্রায় সব প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার এ কথা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘ প্রতিনিধি ডেবোরা লায়নস। আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের এই ‘সক্রিয় শক্তিবৃদ্ধি’ রুখতে তালিবান কতটা কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারবে তা নিয়েও সন্দীহান তারা।
মার্কিন সেনা এবং ন্যাটো বাহিনী সরে যেতেই আফগানিস্তানের দখল নেয় তালেবান। কাবুলের দখল তালেবদের হাতে যেতেই পতন ঘটে আসরফ গনি সরকারের। কিন্তু ক্ষমতা দখল করলেও একাধিক সমস্যা হাজির হয় তালেবদের সামনে। যার মধ্যে অন্যতম হল আইএস-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি। কাবুল বিমানবন্দরের পাশাপাশি তালেবান শাসিত আফগানিস্তানে ইতিমধ্যেই একাধিক আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে ওই জঙ্গিগোষ্ঠী। গোটা দেশে তাদের ছড়িয়ে পড়া নিয়েই উদ্বেগে জাতিসংঘ।
নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে আফগানিস্তানের তালিবান জমানা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সামনে এনেছেন ডেবোরা। তিনি বলেছেন, ‘‘ইরাক এবং খোরাসান এলাকার বাইরে ইসলামিক স্টেটের ছড়িয়ে পড়া রুখতে এখন পর্যন্ত ব্যর্থ তালেবান। এক সময় কাবুল এবং হাতে গোনা কিছু এলাকায় আইএস-এর প্রভাব ছিল। কিন্তু এখন তারা আফগানিস্তানের প্রায় সব প্রদেশেই উপস্থিত এবং নিজেরের শক্তিও সক্রিয় ভাবে বাড়াচ্ছে।’’ এদের রুখতে তালেবানও যে আটক এবং হত্যাতেই বেশি নির্ভরশীল সে বিষয়টি নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে ওঠে।
ইসলামিক স্টেট-খোরাসান তালেবানের ঘোষিত শত্রু। আগস্টে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণের দায় নিয়েছিল ওই জঙ্গিগোষ্ঠী। সেই ঘটনায় ১৩ জন মার্কিন সেনা-সহ মৃত্যু হয় ১৭০ জনেরও বেশি মানুষের। তারপরও একাধিক বিস্ফোরণের সাক্ষী থেকেছে আফগানিস্তান। ইসলামিক স্টেটের এই বাড়বাড়ন্ত তালেবান কী ভাবে মোকাবিলা করে সেটাই এখন দেখার। সূত্র: এএফপি