শিল্পায়নে ৮৫০০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট: December 5, 2021 |

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি বলেছেন, তিস্তার দুই পাড়ে শিল্পায়ন করার জন্য মেগা প্রকল্প গ্রহণ করছে সরকার। এজন্য ৮৫০০ কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে।

আরডিজেএ এর প্রয়াত সদস্য সন্তানদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে আজ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ মিলনায়তনে এর আয়োজন করে রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা। আরডিজেএ সভাপতি মোকছুদার রহমান মাকসুদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন ডিআরইউ সাবেক সভাপতি ও আরডিজেএ অন্যতম সদস্য শফিকুল করিম সাবু, নজমুল হক সরকার, এম জে ইসলাম এবং ইআরফের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আরডিজেএ সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।

বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, প্রয়াত সাংবাদিকের সন্তানদের বৃত্তি প্রদান ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা (আরডিজেএ) যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সাধুবাদ জানাই। অন্য কোনও সাংবাদিক সংগঠনের এমন উদ্যোগ আছে বলে আমার জানা নাই।

বাণিজ্য মন্ত্রী বক্তব্যে আরো বলেন, রংপুরে গ্যাস সংযোগের কার্যক্রম চলমান আছে। কুড়িগ্রামে শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হচ্ছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপ নেয়ার কার্যক্রম চলমান আছে। নানা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে এগিয়ে যাচ্ছে রংপুরের অর্থনীতি।
তিনি বলেন, আরডিজেএ’র সাংবাদিকরা প্রয়াত সদস্য ও সহকর্মীদের সন্তান ও পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সেটি সফল হোক। প্রতিযোগিতার এ যুগে সবার মধ্যে এগিয়ে চলার নেশা কাজ করে। আমরা ভুলে যাই আমাদের পাশে কে ছিল। আরডিজেএ নেতৃবৃন্দ তাদের সহকর্মীর সন্তানের কথা চিন্তা করেছে, এটা তাদের মহানুভবতা। রংপুরের সাংবাদিকরা যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন সেটি প্রমাণ করে তারা আর চার-পাঁচজন থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম।

ইআরএফ এর সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম বলেন, রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতির এমন মহৎ উদ্যোগে সাধুবাদ জানাই। প্রয়াত সদস্য সন্তানদের বৃত্তি দিতে অন্য কোন সাংবাদিক সংগঠনের উদ্যোগ আছে বলে জানা নেই।
ডিআরইউ সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম সাবু বলেন, দেশের সব অঞ্চলের মানুষই জানে রংপুরের মানুষেরা সহজ-সরল। অনেক বড় ক্ষমতা পেয়েও রংপুরের মানুষের চরিত্র বদলায় না।

সভাপতির বক্তব্যে আরডিজেএ সভাপতি মোকছুদার রহমান মাকসুদ বলেন, পিতাহীন একজন সন্তান সবথেকে অসহায়। ক্ষুদ্র সামর্থ নিয়ে আমরা আমাদের প্রয়াত সদস্যের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। সামর্থবানদের এ মহৎ কাজে পাশে চাই।

বৃত্তি নিতে এসে আরডিজেএ প্রয়াত সদস্য শফিউল আলম রাজার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা বলেন, সাংবাদিকরা পরিবারের জন্য কিছু রেখে যেতে পারে না। স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তানদের নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছি। এমন সময় আমাদের পাশে দাড়িয়েছে আরডিজেএ। আরডিজেএ’র এমন মানবিক উদ্যোগকে শুভ কামনা জানাই। মানবিক এমন উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাক আরডিজেএ।

অনুষ্ঠানে প্রয়াত সদস্যের ১০ সন্তানের হাতে বৃত্তির টাকা তুলে দেওয়া হয়। বৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় আরডিজেএ প্রয়াত সদস্যদের প্রতি সন্তানকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা বৃত্তি দেওয়া হবে। শিক্ষা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বৃত্তি চলমান থাকবে।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর