আগামীতে প্রবাসীদের জন্য ই-ভিসা চালু করা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আগামীতে প্রবাসীদের জন্য ই-ভিসা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ই-ভিসা চালু করার প্রজেক্ট হাতে আছে। প্রবাসীরা বিদেশে বসে পার্সপোট পেলে এনআইডি কেন পাবে না। তারা যাতে বিদেশে বসে এনআইডিটা পায় সে ব্যাপারে কাজ করতে হবে।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

তিনি বলেন, প্রবাসী দেশে এসে দেখছেন প্লেনের ভাড়া বেড়ে গেছে। এতে করে তারা সমস্যায় পড়ছেন। তাই প্লেনের ভাড়া বাড়ানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। একই সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাই।

তিনি আরো বলেন, আমরা ৩০ ডিসেম্বর প্রবাসী দিবস ঘোষণা করতে চাই। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নিলে এটা ত্বরান্বিত করা সহজ হবে। প্রবাসীরা নানাভাবে হয়রানির স্বীকার হয়। এজন্য আমরা এই দিবসটা পালন করার উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি বলেন, লিবিয়ায় পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে, আমদের হাইকোর্টে একটি নিষেধাজ্ঞা আছে সেটা উঠানোর জন্য কাজ করছি। এটা উঠে গেলে লিবিয়ায় অনেক লোক পাঠানো যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বে ২৮ কোটি মানুষ অভিবাসী মোট জনসংখ্যা ৩ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ নিজ দেশ থেকে বাইরে গিয়ে কাজ করে উন্নত জীবনের আশায়। আমাদের দেশে ১ কোটি ২০ লাখ অভিবাসী কর্মরত রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, কোভিডের কারণে এই খাতে চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়। কিন্তু সফলতার সঙ্গে সেটা মোকাবিলা করা হয়েছে। প্রবাসীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গেছেন। অভিবাসীদের জোর করে যেন দেশে না পাঠায় সেজন্য আমরা সেই সময় বিভিন্ন দেশে কথা বলেছি।

অনুষ্ঠানে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। আজ বাংলাদেশ আর তলাবিহীন ঝুঁড়ি নেই। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। ২০২০-২১ অর্থবছরে বছরে অভিবাসীরা ২৪ বিলিয়নের বেশি ডলার দেশে পাঠিয়েছে। তাই অভিবাসীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত, আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাদের নিয়ে কাজ, করছেন আরো বেশি করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

ইমরান আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু উদ্যোগ নিয়েছিল কিভাবে জনশক্তি কাজে লাগানো যায়, ১ কোটির বেশি মানুষ বিদেশ কর্মরত আছেন, এতে করে দারিদ্র কমেছে। জনশক্তি পাঠানোয় সীমাবদ্ধতা আছে, কোভিডের কারণে অনেকে ফেরত এসেছিল। তারাও চলে গেছে, এবছরও ৯ থেকে সাড়ে ৯ লাখ মানুষ পাঠানো যাবে।

তবে এখানেও শেষ নয় আমরা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করি টার্গেটও ফিলাপ হবে এবং রেমিট্যান্সের যে ধীর গতি আছে সেটাও কেটে যাবো। গত মাসে এক লাখের বেশি লোক গেছে। ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ৬৫ হাজার গেছে এটাও ১ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, আমি মালয়েশিয়া আজ যাবো, কাল একটি এমওউই হবে। এরপর মালয়েশিয়া যাওয়ার একটা ব্যবস্থা করছি। আমরা বাংলাদেশ সাইটে এই বাজারটা ওপেন রাখতে চাই তাই গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

আমাদের অভিবাসী কর্মীরা দেশের জন্য আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স, অবদান রাখছেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে।

দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে তারা দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের অভিবাসী কর্মীরা বিশেষ অবদান রাখছেন।

বৈশাখী নিউজ/ জেপা