এবার বুরকিনা ফাসোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ইইউ’র

আপডেট: January 27, 2022 |

সাংবিধানিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার না হলে বুরকিনা ফাসোর সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিল ইইউ। ইইউ-র পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক প্রতিনিধি জোসেপ বরেল জানিয়েছেন, তারা বুরকিনা ফাসোয় আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিতে পারেন।

বরেল কী বলেছেন

বরেল সেনাশাসকদের বলেছেন, যদি সাংবধানিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার না হয়, তাহলে তার প্রভাব বুরকিনা ফাসোর সঙ্গে ইইউ-র সম্পর্কের উপর পড়বে। ইইউ আগেই আটক প্রেসিডেন্টকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

বরেল বলেছেন, বুরকিনা ফাসোর বিরুদ্ধে ইইউ নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। বিশেষ করে সেনা কর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। বুরকিনা ফাসোকে আর্থিক সাহায্য দেয়াও বন্ধ করতে পারে ইইউ।

বরেল চাদ, মালি, নাইজার এবং বুরকিনা ফাসোর কূটনীতিকদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেছেন।

কেন অভ্যুত্থান?

ইকনমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস(ইসিওডাব্লিউএএস) বুধবার ঘোষণা করেছে, তারা শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসছে। সেখানেই বুরকিনা ফাসোর সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে কথা হবে।

ইসিওডাব্লিউএএস এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন বুরকিনা ফাসোয় সেনাশাসনের নিন্দা করেছে।
বুরকিনা ফাসোর প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ ছিল। তাদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট চরমপন্থিদের ঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারেননি। গত কয়েক মাস ধরে তাই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখানো হচ্ছিল।

বুরকিনা ফাসোতে আল কায়দা, আইএসের সঙ্গে জড়িত গোষ্ঠীগুলি সক্রিয়। তাদের আক্রমণে ১৫ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। গত বছর দুই হাজার মানুষ সন্ত্রাসীদের আক্রমণে মারা গেছেন।

সেনা জানিয়েছে, এই কারণেই অভ্যুত্থান হয়েছে।

পিপলস মুভমেন্ট ফর প্রোগ্রেস পার্টি সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভালো আছেন। তাকে প্রেসিডেন্টের বাসভবনেই গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। -ডয়চে ভেলে

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর