কোভিডে স্বাভাবিক ছিল দেশের অর্থনীতি: অর্থমন্ত্রী

আপডেট: February 10, 2022 |
print news

মহামারিতেও বাংলাদেশের অর্থনীতি নিম্নমুখী হয়নি বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের মুখে এমন মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।

এ ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি সবসময় গতিশীল ছিল, প্রবৃদ্ধিও ভালো ছিল। সে জন্য সারা বিশ্বের কাছে আমরা সমাদৃত এবং প্রশংসিত হয়েছি। হিসাবটি সহজেই পাওয়া যাবে, আগে দেখতে হবে আমাদের এখানে মূল্যস্ফীতি হলো কি না। সেটি হয়নি। আমাদের এক্সচেঞ্জ রেট স্ট্যাবল ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন সারা বিশ্বে একদম খারাপ অবস্থা ছিল, সে সময়ও আপনারা দেখেছেন, আমরা বেশ ভালো ছিলাম। আমাদের অর্থনীতি কখনো নিম্নমুখী হয়নি। রেভিনিউ–যেটি এই সময় দুরূহ ছিল, সেই রেভিনিউ জেনারেশনও আমাদের ১৫ শতাংশ বেশি ছিল। রপ্তানি বাণিজ্য ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।’

‘আমাদের আরেকটি খাত, বিশেষভাবে প্রধানমন্ত্রী হাত ধরে প্রণোদনা ঘোষণায় রেমিট্যান্সপ্রবাহ বেড়ে গেছে ৩৬ শতাংশ। রেমিট্যান্সটা যদিও আমাদের জিওবিতে আসে না। কিন্তু মাথাপিছু আয়ে আসে। এগুলো হলো আমাদের অর্থনৈতিক এলাকা। এর কোথাও কিন্তু নেগেটিভ গ্রোথ নেই,’ মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।

গত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত বাজেট যখন সংসদে উপস্থাপন করেছিলাম, সে সময় আমি উল্লেখ করেছিলাম, জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেশি হবে। সেটিই কিন্তু হয়েছে। আমি মনে করি, এই সবকিছু সম্ভব হয়েছে এ দেশের মানুষের জন্য। আমরা পেয়েছিলাম একজন প্রধানমন্ত্রী, তার সুযোগ্য গতিশীল নেতৃত্বে এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি এ দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য, তারা যেন হাতে টাকা পেতে পারে, সংসার চালাতে পারে–সেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেটি যথাযথভাবে কাজ করেছে। অন্য কেউ সাহস পায়নি এটি করার জন্য, আমরা সেটি করেছি। এসব কারণেই আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।’

কিন্তু অর্থমন্ত্রীর দেওয়া এই হিসাব কতটা স্বচ্ছ, সে বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে হিসাব দিয়েছি, আপনারা সেভাবেই পাবেন। কেউ কেউ বলবে আমাদের মূল্যায়ন ঠিক হয়নি, হয়তো আমরা বেশি দেখিয়েছি। আমাদের যে অর্জন, সেটি তো আপনারাই দেখতে পাচ্ছেন, কোথায় আছি আমরা? আমরা তো সব জায়গায় অর্জন দেখতে পাচ্ছি। এখন আপনারা যদি কোনো অর্জন না দেখেন, তাহলে বলতে পারেন ঋণাত্মক ফিগার আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা দেখুন, আমরা অন্য কোনো সিস্টেম অনুসরণ করেছি কি না, আমরা তা করি না। আমরা একই সিস্টেম অনুসরণ করে আসছি এবং এটি চলমান আছে। সারা বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই এই নীতি অনুসরণ করে থাকে। আমাদের কেন বাড়ল, সেটি এখানে বলতে পারি না, বলব না। কারণ, এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী ব্যাখ্যা দিয়েছেন, বিশদ জেনেই আপনাদের সামনে বিষয়টি তুলে ধরেছেন।’

জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মাথাপিছু আয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত সিস্টেম অব ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টস ২০০৮ অনুসরণ করে নির্ধারণ করা হয়।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর