ফরিদপুরে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০, বসতঘর ভাংচুর

আপডেট: April 10, 2022 |

তারেকুজ্জামান, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০জন আহত এবং ১৫টি বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (৯ এপ্রিল) রাতে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড় খারদিয়া গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ১৫টি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য দলাদলি ও স্থানীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক মোল্লার সাথে যদুনন্দী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে রিবোধ চলে আসছিল।

তারই সূত্র ধরে শনিবার রাতে রফিকের এর সমর্থক আমিনুর রহমান উপর অতর্কিত হামলা চালায় আলমগীর মিয়ার সমর্থকেরা। এতে গুরুতর জখম হয় আমিনুর রহমান। পরে স্থানীরা আমিনুর রহমানের মৃত্যুর খবর গুজব ছড়িয়ে এলাকায় মুহুর্তের মধ্যে উভয় গ্রুপের শতশত লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, ভেলা, শরকি, রামদা, টেটা ও ইটের টুকরো নিয়ে স্থানীয় মাঠের মধ্যে জড়ো হয়ে রাতেই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। চলে ৪ ঘন্টা ব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া বসতবাড়ি ভাংচুর লুটপাট। পরে এ সংঘর্ষে আশপাশের গ্রামের মানুষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নেয়। সংঘর্ষের সময় ১৫টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে উত্তেজিত সংঘর্ষকারীরা। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।

খবর পেয়ে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষকারীদের ইটের আঘাতে ও হামলায় সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বাকীদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সহকারি পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা) সার্কেল সুমিনুর রহমান বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় খারদিয়া বাজারে রফিক চেয়ারম্যানের সমর্থক আমিনুল নামের এক লোক কে মারধর করা করে আলমগীর মিয়ার লোকজন। এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করি। ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর