কেরানীগঞ্জে হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
ঢাকার কেরানীগঞ্জে হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই পার্কের কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আজ মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জের ঝিলমিলে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ সময় ভারতীয় হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে আইটি ইন্ডাস্ট্রিতেও এখন কেরানীগঞ্জবাসীর অবদান রাখার ক্ষেত্র প্রস্তুত হলো।
কাজ শেষ হলে এই এলাকার ছেলেরা গতানুগতিক ব্যবসা-বাণিজ্যর বদলে অনলাইনে কাজ করে ডলার উপার্জন করতে পারবে। যা দেশের আর্থ-সামাজিক পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তন আনবে।’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা সাহসিকতা অদূরদর্শিতায় স্বল্পোন্নত দেশটি আজ প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে।
তিনি দেশের প্রতিটি ঘরকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন এবং ১৩ কোটি মানুষকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেন চাইল্ড আইটি পার্ক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, স্কুল অব ফিউচার, ডিজিটাল এডুটেইনমেন্ট সেন্টারসহ দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আগামীতে মেধাবী তরুণরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি রোবটিক্স, আইওটি, সাইবার সিকিউরিটি টুলস তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতীয় হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ়করণ এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারীত্ব বাড়ানোর বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকারর ঋণ প্রদান করছে।
জানানো হয়, প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কেরানীগঞ্জের ৩.২৭২ একর জমিতে এই হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় ১৫ হাজার জনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অন্ষ্ঠুানে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।