বিয়ের তিন মাস পর বিষপানে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যা
বিয়ের তিন মাস পর হাতের মেহেদী না শুকাতেই ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় বিষপানে স্বামী-স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে নব-দম্পতীর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দেখছেন পুলিশ। স্থানীয়রা বলছেন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেরই ছিল।
ময়মনসিংহের সদর উপজেলার ভাটি দাপুনিয়ায় নবদম্পতি রনি মিয়া (২২) এবং সেতু আক্তার (১৯) গত রবিবার মধ্যরাতে নিজ বাড়িতে বিষপান করে। বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর চারটার দিকে দুইজনই মারা যান।
নিহত সেতু আক্তারের বাবা তারা মিয়া বলেন, গত রাত ১২টার দিকে মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছি তখন তারা ভালোই ছিল। কথা বলার আধঘন্টা পর শুনি মেয়ে অসুস্থ। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি মেয়ে আর জামাই বিষ খেয়েছে। ডাক্তাররা তাদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও তারা বাঁচেনি।
তিনি আরো বলেন, মেয়ের দাম্পত্য জীবন খুব সুখের ছিল। তবে কি কারণে কি ঘটছে তা বলতে পারছি না।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত তিন মাস আগে ময়মনসিংহ নগরীর বলাশপুর কসাইপাড়ার তারা মিয়ার মেয়ের সাথে ভাটি দাপুনিয়া গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে রনি মিয়ার বিয়ে হয়। রনি মিয়া রাজমিস্ত্রি ছিলেন।