ভারতে বিক্ষোভ থামানোর আহ্বান মুসলিম নেতা-আলেমদের

আপডেট: June 14, 2022 |

ভারতীয় একটি টিভি শো-তে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করে। দলটির নয়াদিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দাল সেই কটূক্তির সমর্থন দেন। এর পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে ভারতসহ সারাবিশ্বে।

স্থানীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোববার দেশটির রাজনৈতিক দল জামায়াত-ই-ইসলামি হিন্দের নেতা মালিক আসলাম বলেন, কেউ যখন ইসলাম নিয়ে সমালোচনা ও হেয় মন্তব্য করেন, তখন প্রত্যেক মুসলমানের ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। একই সঙ্গে এ ধরনের সংকটময় মুহূর্তে শান্তি বজায় রাখাও প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মহানবীকে (সা.) কটূক্তির প্রতিবাদ করার সময় দেশটির পুলিশ কমপক্ষে ৪শ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। কয়েকটি রাজ্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কাশ্মীরসহ কয়েকটি রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে বেশ কয়েকজন মুসলিম নেতার বাড়ি ভেঙে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তারা নবী মোহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিজেপি নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। এ ঘটনায় সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার কর্মীরা রাজ্য সরকারের নিন্দা করেছে।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের একজন সহকারী রয়টার্সকে বলেন, মুসলিমদের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে আমরা বাড়িঘর ভাঙছি না। তাদের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার অধিকার আছে।

এদিকে মহানবী (সা.)-কে নিয়ে মন্তব্যের জেরে গত সপ্তাহে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। সহিংসতার ঘটনায় দুজন নিহত, পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

মহানবী (সা.)-কে অবমাননাকর মন্তব্য করার প্রায় দুই সপ্তাহ পর নূপুরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়। একই অভিযোগে বিজেপির দিল্লি শাখার তৎকালীন গণমাধ্যম প্রধান নবীন কুমার জিন্দালের নামও রয়েছে। তাকেও স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর