মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে বন্ধ ৩০০ বিকাশ এজেন্ট সিম!

আপডেট: August 16, 2022 |
print news

স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট: ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা লেনদেনের অভিযোগে এমএফএস অপারেটর বিকাশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রায় ৩০০ এজেন্টের সিম বন্ধ হয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন ডিসট্রিবিউটরের লেনদেন কার্যক্রমে স্থগিত থাকার তথ্য পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলের বেশ কয়েক জায়গায় সিম বন্ধ করে দেওয়ার এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন বিকাশের চট্টগ্রাম বিভাগের একজন ডিস্টিবিউটর।
তিনি বলেন, বিকাশ কতৃপক্ষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করলে তারা আমাদের জানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী কিছু আকাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেনের কারনে হয়ত তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। বিষয়টি এখন তদন্তের পরে আমাদের সঠিকটা জানানো হবে বলে জানিয়েছে।

চট্টগ্রামের এক বিকাশ ডিস্টিবিউটর নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘আমাদের বেশকিছু সিম বিকাশ বন্ধ হয়ে গেছে। এসব সিমে আমাদের অনেক টাকাও আটকা পড়েছে।ডলারের দাম বাড়াতে প্রবাসী আয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ দেশে হুন্ডির মাধ্যমে আসছে বলে হয়ত সন্দেহ করছেন বলে জানিয়েছেন এই ডিস্টিবিউটর। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।

অন্য আরেক ডিস্টিবিউটরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমাদের কোন এজেন্ট সিম বন্ধ হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

এ ছাড়া চট্টগ্রামেরই মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন ও প্রবাল করের মালিকানাধীন এসআই টেলিকম এবং আশফাক হোসেন কাদেরীর আল কাদেরী নামে প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযুক্ত হয়েছে।

কুমিল্লা অঞ্চলের মধ্যে ফেনী সদরের বোনিতো কমিউনিকেশন্স ও মিয়ারকি করপোরেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাজী কমিউনিকেশন্স এবং চৌদ্দগ্রামের আলমির এক্সপ্রেসের বিপক্ষে বড় ধরনের অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধারণত একজন বিকাশ এজেন্টের দৈনিক লেনদেনে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউটে খুব বেশি হেরফের হয় না। অর্থাৎ ক্যাশ আউটের কাছাকাছি থাকে ক্যাশ ইনের টাকার পরিমাণ। কিন্তু অভিযুক্ত নম্বরগুলোয় অস্বাভাবিক হারে ক্যাশ ইন হয়েছে গত কিছুদিন ধরে। যেটির তদন্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কোন এজেন্ট নম্বরগুলোতে অস্বাভাবিক পরিমাণে ক্যাশ ইন হচ্ছে। এই নম্বরগুলোতে অস্বাভাবিক লেনদেন দেখেই সন্দেহের কারন হতে পারে বলে জানা গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কিছুদিন ধরেই বিদেশ থেকে টাকা আনা ও পাচারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল কী ধরনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে তদন্ত করছে। এর আগে তারা রিং আইডিসহ বেশ কিছু প্রতারকের মাধ্যমে অর্থ পাচার ও হুন্ডি হচ্ছে বলে জানিয়েছিল। সেই অর্থ এই দেশে তাদের এজেন্টরা লেনদেন করছিলেন বিকাশের মাধ্যমে। আর এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পেয়েই হয়ত সিম বন্ধ শুরু করে বিকাশ।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর