সময় কমিয়ে নতুন নিয়মে অফিস শুরু

আপডেট: August 24, 2022 |

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সময় কমিয়ে নতুন নিয়ম অনুযায়ী আজ থেকে অফিস শুরু করেছেন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে সরকারি অফিস। এ ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুদিনের ছুটি ও ব্যাংকিং সময়েও পরিবর্তন এনেছে সরকার।

বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৮টায় নতুন সময়সূচি মেনে অফিসে উপস্থিত হয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত সোমবার (২২ আগস্ট) জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সারাদেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসের সময়সূচিতে পরিবর্তন এনে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার ২৪ আগস্ট (বুধবার) থেকে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নির্ধারণ করল- রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।

এতে বলা হয়, জরুরি পরিষেবাসমূহ নতুন অফিস সময়সূচির আওতাবহির্ভূত থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সময়সূচি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ নির্ধারণ করবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ব্যাংক, বিমা, অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উল্লেখ্য, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় এবং যানজট নিরসনে সারা দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সোমবার (২২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।

নতুন সিদ্ধান্ত মোতাবেক, বুধবার (২৪ আগস্ট) থেকে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসের কার্যক্রম সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করা হয়েছে। ব্যাংকিংয়ে নতুন সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ ছাড়া সপ্তাহে দুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়।

এসব সিদ্ধান্তের কারণে দুইটা সুবিধা হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একটা হলো বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, আরেকটা হলো ট্রাফিক জ্যামটাও কমবে।

করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে অনেকগুলো ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এতে চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেকটাই কমে যায়। সংকট মোকাবিলায় সূচি করে লোডশেডিং দেয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর