বিলকিস বানুর ধর্ষণকারীদের মুক্তি বিষয়ে জবাব দিতে সুপ্রিম কোর্টের নোটিস
বিলকিস বানুর ১১ ধর্ষণকারীর আগাম মুক্তির বিরুদ্ধে মামলায় গুজরাট সরকারকে বৃহস্পতিবার নোটিস দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ১১ ধর্ষণকারীর মুক্তি বিষয়ে গুজরাট সরকারকে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলায় ১১ অপরাধীকেও যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আগামী দুই সপ্তাহ পর আবার এই মামলার শুনানি হবে।
দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্ট সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে ১৫ বছর সাজাভোগের পর মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। আগাম মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল এক অপরাধী। সেই আবেদনের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। এর পরই গোধরা জেল থেকে ১১ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়।
অপরাধীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হচ্ছে।
গত ২৩ আগস্ট বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাটে সামপ্রদায়িক দাঙ্গার মধ্যে ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানুকে গণধর্ষণ করা হয়।
বিলকিসের চোখের সামনেই হত্যা করা হয় তাঁর তিন বছরের মেয়েকে। পরিবারটির আরও কয়েক জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এই অপরাধকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে মুম্বাইয়ের সিবিআই আদালতে কঠোর সাজার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল ওই বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন এক জনের মৃত্যু হয়।
অপরাধীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক সুপ্রিম কোটর্- এই আবেদন জানিয়ে ভারতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা