হাসপাতালে ঢুকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মনির খান

আপডেট: September 4, 2022 |

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি গীতিকবি, পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার আর নেই। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পুত্রবধূ শাহানা মির্জা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে রাজধানীর নিজ বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুর খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে অনেক তারকা শিল্পীরা ছুটে আসেন। হাসপাতালে দেখা যায় অনন্ত জলিল, বর্ষা প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেককেই। এ ছাড়াও ছুটে যান ঢাকার উত্তরের মেয়র আতিক। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান গাজী মাজহারুল আনোয়ারের এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।

হাসপাতালে ঢুকেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারছিলেন না। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বললেন, তিনি আমার পিতৃতূল্য। সবসময় বলতেন আমার দুই ছেলে। একজন উপল আরেকজন মনির খান। আমার সঙ্গে প্রতিদিন কথা হতো তাঁর। একদিন ফোনে কথা না হলেই বলতেন কি বাবা তোমার কি শরীর খারাপ? তার মতো একজন মানুষকে হারালাম। এটা অপূরণীয় ক্ষতি। ‘

এই গায়ক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের বেশ কিছু গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

এদিকে মেয়ে কণ্ঠশিল্পী দিঠি ও চাচা বিদেশ থেকে আসার পর পর গাজী মাজহারুল আনোয়ারের দাফনকার্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ছেলে উপল। উপল বলেন, ‘এখন আমরা আমার বোন ও চাচার জন্য অপেক্ষা করছি। ’

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বারিধারা পার্ক রোডের বাসায় শুরুতে তাকে নেওয়ার কথা থাকলেও তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

গাজী মাজহারুল আনোয়ারের জন্ম ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩। তিনি একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, রচয়িতা, গীতিকার ও সুরকার। স্বাধীনতা ও দেশপ্রেম নিয়ে তিনি অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান লিখেছেন। তিনি ২০০২ সালে বাংলাদেশের একুশে পদক এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। ২০ হাজারের বেশি গান রচনা করেছেন তিনি। বিবিসি বাংলা তৈরীকৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় রয়েছে তার লেখা তিনটি গান।

এ ছাড়া তার লেখা কালজয়ী গানগুলো হলো ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’ প্রভৃতি।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

 

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর