জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট যেন মরন ফাঁদ!
মো. আরিফ হোসাইন, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন একাডেমিক ভবনের লিফটে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে উঠানামা করে এই লিফট দিয়ে। প্রায়ই চলন্ত অবস্থায় হ্যাং করে লিফট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার শঙ্কায় সবাই।
গত সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) লিফটে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, লিফটের ভেতরে আটকে থাকার পর লিফট পরিচালনা দায়িত্বে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি দ্রুত দরজার একাংশ খুলতে সক্ষম হন। এরপর আস্তে আস্তে লিফটে আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের চেয়ারের সাহায্যে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন তারা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
চিপ ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন,’সাময়িক সমস্যার জন্য আমরা খুবই দুঃখিত। নষ্ট হওয়া দুটি লিফটের মধ্যে আমরা একটি অলরেডি ঠিক করেছি, অন্যটি ঠিক করার জন্য আমরা একটি কোম্পানির সাথে চুক্তি করতেছি আশাকরি চুক্তি সম্পন্ন হলে দ্রুত সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবনে মাত্র চারটি লিফট রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে এইগুলোতে কিছুদিন পরপরই যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে পরিবহন অফিসের সামনের চার নাম্বর লিফটি।
বাকি তিনটি লিফটের মধ্যে একটি লিফট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত, যেটি আবার মাত্র ছয় তলা পর্যন্ত উঠতে সক্ষম। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দশ হাজার শিক্ষক শিক্ষার্থীর জন্য লিফট সচল ছিল মাত্র দুটি, যার একটি সোমবার অকেজো হয়ে পড়ে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট, তাও আবার সপ্তাহের পর সপ্তাহ নষ্ট থাকে। কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই। একে তো রাস্তার অতিরিক্ত জ্যাম তার উপর একবার সিরিয়ালি লিফটে উঠতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে। এসব ভোগান্তি তো কখনোই প্রশাসন দেখবেন না, বুঝবেও না। কারণ তাদের তো লিফটের সিরিয়ালে দাঁড়ানো লাগে না।’