ইবিতে ককটেল হামলার প্রতিবাদে ভিসি অফিসে বিক্ষোভ

সময়: 5:24 pm - September 14, 2022 | | পঠিত হয়েছে: 2 বার

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্র হলে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে ভিসি ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে ইবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং লালন শাহ হলে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ লক্ষ্য করে ১০-১২ টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এসময় নিরাপত্তা চেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়না। এমনকি সকাল পর্যন্ত কেউই অবস্থা পর্যবেক্ষণেও যায়নি।

এরই প্রতিবাদে বেলা ১২ টা থেকে শাখা ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আল মামুম, বনি আমিন, মুন্সী কামরুল হাসান অনিক, সুজন কুমার দে, রকিবুল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ শেখ সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

মিছিল শেষে বিক্ষোভকারীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালামের সাথে নিরাপত্তা চেয়ে দেখা করতে গেলে তিনি বলেন, এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, আমরা ইনডিভাইজুয়ালি নিরাপত্তা দিতে পারবোনা। কারণ আমাদের ও তো জীবনের মূল্য আছে। আমরা তো ঘটনাস্থলে প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া যেতে পারিনা। আর্মি, পুলিশের সাহায্য ছাড়া আমরা কিভাবে নিরাপত্তা দেবো। বৃষ্টি আর গভীর রাতের ঘটনা হওয়ায় আমরা কেউ ঘটনা স্থলে যেতে পারিনি।

এসময় উপাচার্যের এসব কথা শুনে প্রশাসনের নিরাপত্তা প্রদানের ব্যাপারে বাকবিতণ্ডা হলে ভিসি অফিস ঘেরাও করে পুনরায় বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। বিক্ষোভে শিবির নির্মূল সহ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও প্রক্টরিয়াল বডিকে ক্যাম্পাস কোয়ার্টারে থাকার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে বলেন শিক্ষার্থীরা।

পরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে উপাচার্য ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে মিটিং করে ভিসি অফিস ত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সকালেই পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। রেজিস্ট্রার মহোদয় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ এখনো তাদের ইনভেস্টিগেশন করছে আমি জানি। তারা এবং আমাদের আইসিটি সেল একত্র হয়ে কাজ করেছে ঘটনা তদন্তে।

তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা যেটা বলেছে সেটাও ঠিক আমাদের লোকরা যা বলেছে সেটাও ঠিক। দিনে হলে হয়তো সাথেসাথেই যাওয়া যেত। কিন্তু রাত তিনটায় তো কাউকে ফোন দিয়ে সাথে সাথে নাও পাওয়া যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের আবেগের জায়গা একদম ঠিক। তারা আমাদের তাৎক্ষণিক ভাবে চাবেই। এতো রাতে হওয়ায় কেউই জেগে ছিলোনা।

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জায়েদ বলেন, আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি এখনো। আশা করছি তদন্ত শেষ হলেই আমরা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা জানতে পারব।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর