যেসব কারণে জ্বালানি তেলের দাম কমছে

দিনের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে বেড়েছে তেলের দাম। গত সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর ) ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছিল জ্বালানি পণ্যটির দর। তবে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রতি ব্যারেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২ ডলার।

এতে বলা হয়, হারিকেন ইয়ানের আগে যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকো উপসাগরে তেলের সরবরাহ কমেছে। একইসময়ে ইউএস ডলারের সামান্য দরপতন হয়েছে। এতে জ্বালানি পণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আগামী ৫ অক্টোবর বৈঠকে বসবে পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশ এবং সহযোগী সংস্থা ওপেক প্লাসের নীতি-নির্ধারকরা। সেখানে সরবরাহ কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তারা। তেলের মূল্য বৃদ্ধির নেপথ্যে এটিও প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে।

আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের দর বেড়েছে ২ ডলার ৩৫ সেন্ট বা ২ দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ৮৬ ডলার ৪১ সেন্টে। এর আগে তা বিক্রি হয় ৮৩ ডলার ৬৫ সেন্টে। গত জানুয়ারির পর যা সর্বনিম্ন।

যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম বেড়েছে ২ ডলার ০৪ সেন্ট বা ২ দশমিক ৭ শতাংশ। ব্যারেলপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৭৮ ডলার ৭৪ সেন্ট।

তবে উভয় বেঞ্চমার্কই কমতির দিকে আছে। গত ৮ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন পর্যায়ে অবস্থান করছে। সবমিলিয়ে টানা কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দরপতন ঘটছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এতে পরের মাস মার্চে ব্রেন্টের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে। প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয় হয় ১৪৭ ডলারে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেলের মূল্য হাস পাচ্ছে। পেছনে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চ সুদ হার বৃদ্ধি, প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা ডলারের দর বৃদ্ধি নিয়ামকের ভূমিকা পালন করছে।

অয়েল ব্রোকার পিভিএমের টমাস ভার্গা বলেন, বর্তমানে তেলে প্রভাব ফেলছে অর্থনৈতিক শক্তিগুলো। ডলার শক্তিশালী হলে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের কাছে জ্বালানি পণ্যটি কেনা ব্যয়বহুল হয়ে যায়। এতে দাম কমে।

বৈশাখী নিউজ/ এপি