দুদকের মামলায় সেলিম খানের জামিন শুনানি আজ

আপডেট: October 12, 2022 |

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে দুদকের করা মামলায় চাঁদপুরের ‌‌‘বিতর্কিত’ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম খানের জামিন শুনানি হবে আজ। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ শুনানি হবে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আইনজীবীর মাধ্যমে একই বিচারকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন বালুখেকো হিসেবে পরিচিত সেলিম খান। অন্যদিকে দুদক জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তদন্ত প্রতিবেদনসহ জামিন শুনানির জন্য বুধবার (১২ অক্টোবর) ধার্য করেন।

জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে আগাম জামিন দেন। পরে তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক। পরে গত ২১ সেপ্টেম্বর সেলিম খানের জামিন স্থগিত করে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন চেম্বার আদালত।

এর আগে গত ১ আগস্ট সেলিম খানের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সেলিম খান অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। এ ছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সেলিম খান যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন, তা যাচাই-বাছাই করে অসংগতি পাওয়া গেছে। লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর মৌজায় সেলিম খানের ১৯ দশমিক ৮৯ একর জমি, ঢাকার কাকরাইলে আজমিন নামে একটি পাঁচতলা ভবন, কাকরাইলে ৭১৫ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুঁইগড় এলাকায় ১০ তলা বাড়িসহ মোট ২৬ কোটি ৪২ লাখ ৩২ হাজার ২১ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ রয়েছে।

এছাড়াও তার ছয়টি ড্রেজার, তিনটি প্রাইভেটকার, জিপ, একটি পিস্তল, একটি শটগান, আসবাব, পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার, একটি মোটরসাইকেল, ইলেকট্রনিক সরঞ্জামাদি, নয়টি সিনেমা নির্মাণ ও আমদানিতে বিনিয়োগ, ৫৮টি সিনেমা নির্মাণে অনুমতির নিবন্ধন ফি জমা, ব্যাংক হিসাবে জমা ও হাতে নগদসহ আরও ১১ কোটি ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ৩৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়, স্থাবর ও অস্থাবর মিলে সেলিম খানের ৩৭ কোটি ৬১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৮৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং পারিবারিক ও অন্যান্য বাবদ এক কোটি ছয় লাখ ৩৮ হাজার ৩১০ টাকা পাওয়া গেছে। এ সব সম্পদের বিপরীতে গ্রহণযোগ্য চার কোটি ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৬ টাকা আয়ের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলেও বাকি ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত।

বৈশাখী নিউজ/ বিসি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর