রাজাকারের সন্তান বলেই বিএনপি নেতারা দেশের অমঙ্গল চায়

আপডেট: November 18, 2022 |

বিএনপির নেতৃত্বে যারা আছেন তারা সবাই রাজাকার ও আল-বদরের সন্তান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। তিনি বলেছেন, ‘রাজাকারের সন্তান বলেই তারা সবসময় দেশের অমঙ্গল কামনা করে এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি চায় না।’

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিলনায়তনে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত যৌথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা আজম বলেন, প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই আমরা দেখতে পাই বিএনপির মিথ্যাচার। আসলে তারা আওয়ামী লীগের উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিনিয়ত এই মিথ্যাচারগুলো করে। এর মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় খবরে তারা আরও আনন্দিত এবং উৎসাহিত হয়ে উঠেছে।

তাদের ধারণা এই বুঝি বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মতো হচ্ছে। কিন্তু এরাও তো বাংলাদেশের নাগরিক তাহলে এরা কিভাবে নিজের দেশের এমন অমঙ্গল কামনা করে? কারণ তারা তো চায়নি বাংলাদেশের জন্ম হোক। ১৯৭১ সালের সেই স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর যারা নেতা ছিল তাদের পরবর্তী প্রজন্মই এখন এই দলটাকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, মির্জা ফখরুলের বাবা মির্জা রুহুল আমীন ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলার পিস কমিটির বিশাল নেতা। তিনি যদি জীবিত থাকতেন তাহলে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা হতো এবং যুদ্ধাপরাধীর দায়ে তার ফাঁসির রায় হতো। সেই যুদ্ধাপরাধীর ছেলে আজকে বিএনপির মহাসচিব। আজকে বিএনপির নেতৃত্বে যারা আছেন তারা সকলেই রাজাকার আল-বদরের সন্তান। তাই তারা বাংলাদেশের অগ্রগতি চায় না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল আর এটিই তাদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সভার প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। বক্তব্যে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চাচ্ছে আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে কিন্তু তাদের এই আশা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। সেই লক্ষ্যে আগামী ১০ ডিসেম্বর সাভারে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিশাল জনসভার আয়োজন করা হবে। যা বিএনপির মহাসমাবেশকেও ছাড়িয়ে যাবে। বিএনপিকে কোনোভাবেই রাজপথ দখল করতে দেওয়া যাবে না। আর সেই জন্য ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইউনিট এবং এর অঙ্গসংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা, সাভার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তেঁতুলঝোড়া ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ মালেক, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম কবির মোল্লা, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধামসোনা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদসহ ঢাকা জেলার অন্তর্গত সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই, দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর