ইবিতে খসে পড়ল ছাদের প্লাস্টার

আপডেট: November 24, 2022 |

ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের ডাইনিং এর রান্নাঘড়ে খসে পড়েছে ছাদের প্লাস্টার।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। সে সময়ে সেখানে তিনজন কর্মচারী কাজ করলেও কেউ আহত হননি। তবে ডাইনিং এর খাবারের সময় না হওয়ায় কোনো শিক্ষার্থী সেখানে ছিলোনা।

অনেকদিন ধরেই ইবির সাদ্দাম হোসেন হলের দেয়াল, ছাদের একাধিক ফাটল নিয়ে অভিযোগ করছিলো শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি হলেই হলের দেয়ালগুলো চুইয়ে পানি পরে আবাসিক কক্ষ গুলোতে। তবে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে না নিয়ে কোনোরকমে জোড়াতালি দিয়ে প্লাস্টার করে দায়সাড়া ভাবে কাজ করে দেয় বলে শোনা যায়।

এ ব্যাপারে সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহাবুদ্দিন জানায়, ইবির হলগুলোর মধ্যে সাদ্দাম হল সবচেয়ে পুরোনো। কাল হয়ত ডাইনিং এ শিক্ষার্থী না থাকায় কোনো দূর্ঘটনা ঘটেনি। তবে খুব শীঘ্রই কর্তৃপক্ষের বিষয়টি আমলে নিয়ে হলের সংস্কার করা উচিত। আমাদের বেশ কয়েকটি রুমেও সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। বৃষ্টি হলেই আমাদের টিভি রুমে পানি পড়ে। আমরা হল কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলো জানালে তারা কোনোরকমে সিমেন্ট মেরে জোড়াতালি দিয়ে দিলেও কিছুদিন পর সেটি আবার খসে পড়ে।

এ ঘটনায় ডাইনিং কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, অনেক দিন আগে থেকেই ছাদের এইরকম অবস্থা। সিমেন্ট, বালু দিয়ে অনেকবার কাজ করা হলেও কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবার আগের মতো খসে পড়ে যায়। ডাইনিংয়ে আমরা মোট ৯-১০ জন কাজ করি। গতকাল যখন ঘটনাটি ঘটে তখন রান্না করছিলাম হঠাৎ করেই আস্তরণটি খসে পড়ে একটুর জন্য মাথায় পড়ে নি। যদি মাথায় পড়তো বড় ধরনের দুর্ঘটনা হয়তো হয়ে যেতে পারতো।

তারা আরও বলেন, ওয়ালগুলোর এখন যে অবস্থা যেকোনো সময়েই যেকোনো অঘটন ঘটে যেতে পারে। এই বিষয়গুলো সব প্রভোস্টকেই জানানো হয়েছে। যে প্রভোস্ট দায়িত্বে আসে তাকেই জানানো হয় কিন্তু কোনো কাজ হয় না। গতকাল আনুমানিক সাতটার দিকে ঘটনাটি ঘটে। কয়েক মাস আগেও ছাদের আস্তরণ পড়ে মহাজনের পা কেটে গিয়েছিল এইজন্য আমরা সবসময় ভয়ে থাকি কখন আবার ছাদ খসে পড়ে।

বিষয়টি নিয়ে সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান বলেন, এই ঘটনাটি আমি শুনেছি কিন্তু ঘটনার পর আমি আর অফিসে যায়নি। ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এখনো নেওয়া লাগবে। আমি কয়েকদিন আগেই লক্ষ করেছি ওখানকার ছাদের পুরোটাই ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে। এখন ইন্জিনিয়ারিং অফিস কি করে দেখি যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তখন হল থেকেই ব্যবস্থা করতে হবে। আর আমি হলের কর্মচারীদেরকে এই কয়েকদিন সাবধানে চলাফেরা করার জন্য বলেছি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর