আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে চায় সরকার: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: May 7, 2023 |

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমি সবার সহযোগিতা চাই।

লন্ডনের ক্লারিজ হোটেলে স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি ও তার স্ত্রী সুজানা স্পার্কসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ হাসিনাসহ সরকারের কর্মকর্তারা।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বরাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। আওয়ামী লীগ সবসময় দেশে গণতন্ত্র বজায় রেখেছে। আমরা দেশের গণতন্ত্রকে একটি শক্তিশালী ভিত্তি দিয়েছি।’

সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বৈঠকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের বিষয়ে কথা বলেন।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে সবার অংশগ্রহণ থাকে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমি সবার সহযোগিতা চাই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করেছে। কেউ যাতে নির্বাচনে কারচুপি করতে না পারে, সে জন্য ছবিসহ ভোটার তালিকা ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি উল্টো ভোট কারচুপির জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার যুক্ত করে ভোটার তালিকা তৈরি করেছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট স্বাধীন ও শক্তিশালী করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ওয়েস্টমিনস্টারের আদলে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, যা অনুসরণ করে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু করেছে বাংলাদেশ।’

বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও জলবায়ু, ব্যবসা-বাণিজ্যের মতো বেশ কিছু দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’

রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে ব্রিটেন বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন জেমস ক্লিভারলি।

রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ায় শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

জেমস ক্লিভারলি বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর হয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হচ্ছে।’ তিনি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘কমনওয়েলথ লিডারস ইভেন্টের সময় শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী রাজাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে রাজা ইতিবাচক সাড়া দেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্র: বাসস

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর