রমজানে খাদ্যে ভেজাল রোধে বিশেষ মনিটরিং কার্যক্রম চলবে

রমজানে খাদ্য পণ্যে ভেজাল প্রতিরোধে কড়া নজরদারি শুরু করার পাশাপাশি গোটা মাসজুড়ে রাজধানীতে বিশেষ মনিটরিং কার্যক্রম ও অভিযান চালাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি কড়া নজরদারী করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও।

চলতি বছরে রোজার বেশ আগে থেকেই ভেজাল বিরোধী বিভিন্ন বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত খাদ্যে ভেজাল করনে জড়িতদের বিভিন্ন অংকে জরিমানা ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে। তবে এবার রমজানকে ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও র‌্যাব বিভিন্ন পর্যায়ে আলাদাভাবে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করবে।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে ভেজাল পণ্য বাজারে আনতে না পারে সে জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে রয়েছে বিশেষ টিম। র‍্যাবের পক্ষ থেকে সারা বছর ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালিত হলেও চলতি রমজান মাস সামনে রেখে তাদের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

এ প্রসঙ্গে র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, রোজার মাসে ভেজাল বা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রণ করা হবে। সকল শ্রেনীপেশার মানুষের সচেতনতা ও প্রশাসনের নজরদারি স্বয়ং সম্পূর্ণভাবে থাকলেই দেশজুড়ে সকল ধরনের ভেজাল ঠেকানো সম্ভব।

মাসজুড়ে ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি নগরবাসীর নিরাপত্তায় ভেজালমুক্ত খাবার নিশ্চিতে নিয়জিত থাকবে ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত। ইতিমধ্যে সকল উদ্যোগকে ফলপ্রসুভাবে সফল করতে ডিএমপির পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার সঙ্গে বিশেষ সমন্বয় সভায় অংশও নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

অপরদিকে ভেজাল ঠেকাতে তৎপর রয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। জাতীয় ভোক্তা অধিদফতরের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ভোক্তারা যাতে পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার না হন সে জন্য অধিদপ্তরের পক্ষে কাজ করবে চারটি বিশেষ টিম। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে সারা বছরই অধিদপ্তরের তিনটি টিম কাজ করলেও চলমান রোজার মাসে মোট চারটি টিম কাজ করবে।