জলবায়ু পরিবর্তনে উপকুলীয় এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে পিকেএসএফ-বাস্তব

আপডেট: May 29, 2024 |

বুধবার (২৯ মে) মহেশখালী উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে”Resilient Homestead and Livelihood Support to the Vulnerable Coastal People of Bangladesh (RHL)” প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে প্রকল্প অবহিতকরন কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ও বাস্তব- ইনিসিয়েটিভ ফর পিপলস সেলফ ডেভেলপমেন্টএর বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রম সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধারণা দেয়া হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মীকি মারমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মহেশখালী, কক্সবাজার।

এছাড়াও আবু হায়দার, চেয়ারম্যান, মাতার বাড়ি, মহেশখালী কলেজ, আতাহার ইকবাল, ধলঘাটা প্যানেল চেয়ারম্যান, মোঃ আলাউদ্দিন, মেরিন ফিসারিজ অফিসার, মহেশখালী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাস্তব- ইনিসিয়েটিভ ফর পিপলস সেলফ ডেভেলপমেন্ট একটি অলাভজনক, রাজনীতি মুক্ত ও স্বেচ্ছাসেবী, জাতীয় পর্যায়ের বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংস্থা যা ১৯৯৭ সালের ৪ জুলাই প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাস্তব বিশ্বাস করে যে, জনগণ নিজ উদ্যোগেতাদের সমস্যা চিহ্নিত করতে, সমস্যা সমাধান করতে ও আত্মোন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগী সংস্থা বাস্তব দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সময়ে দারিদ্র বিমোচনে সাধারন মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে Resilient Homestead and Livelihood Support to the Vulnerable Coastal People of Bangladesh (RHL) প্রকল্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি মীকি মারমা,বলেন: “পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও বাস্তবের উদ্যোগে RHL প্রকল্পএকটি ভালো উদ্যোগ। ঘূর্ণিঝড় রেমাল পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থদের চিহ্নিত করে তাদের বিশেষ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আত্ননির্ভরশীল করে গড়ে তোলা ও আগামী ৫ বছরে মহেশখালির উপকুলবর্তী ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভুমিকা রাখবে”।

উক্ত কর্মশালায় নিম্নোক্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়,
উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল বাড়ি নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ/বসতভিটাউচুকরণ,
(২) কাঁকড়া হ্যাচারি/ নার্সারী স্থাপন ও জলবায়ু পরিবর্তণ সহনশীল কাঁকড়া চাষ,
(৩) মাঁচা পদ্ধতিতে ছাগল/ভেড়া পালন,
(৪) বসতবাড়ীর আঙিনায় লবণাক্ততা সহনশীল সবজি চাষ,
(৫)বাড়ীরআঙ্গিনায়এবংকাঁকড়াঘেরেম্যানগ্রোভবনায়নইত্যাদি।

এ প্রসঙ্গে মোঃ নাসিরুল আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাবলেন, “মহেশখালী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় প্রতিনিয়ত আঘাত হানায় এখানে কৃষি ব্যবস্থা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। মানুষের কল্যানে ব্যাক্তি স্বার্থ না দেখে একসাথে কাজ করলে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব”।

“Resilient Homestead and Livelihood Support to the Vulnerable Coastal People of Bangladesh (RHL)”- পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্পটি বাংলাদেশের মহেশখালী উপজেলার আটটি ইউনিয়ন যথাক্রমে ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, হোয়ানক, কালারমারচর, শাপলাপুর, বড়মহেশখালী, ছোট মহেশখালীএলাকার জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের জলবায়ু পরিবর্তনে টিকে থাকার সক্ষমতা এবং আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে সুবিধা ভোগীদের জীবন ও জীবিকার মান উন্নয়ন করবে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর