নির্বাহী আদেশে তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিধান বাতিল

আপডেট: August 28, 2024 |
inbound8292050060027074064
print news

নির্বাহী আদেশে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিধান বাতিল করে অধ্যাদেশ জারি হয়েছে। ফলে গণশুনানির মাধ্যমেই এসবের দাম নির্ধারণ হবে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ জারি করেছেন।

এর আগে ২২ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে ২২ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয়া হয়। ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩’ সংশোধন করে অধ্যাদেশে নির্বাহী আদেশে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ৩৪(ক) ধারা বিলুপ্ত করা হয়েছে।

১৮ আগস্ট প্রথম দিন অফিসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছিলেন, ‘নির্বাহী আদেশে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হবে না।’

২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নয়, সরকারকে ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ ও সমন্বয়ের ক্ষমতা দিয়ে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২’ জারি করেন রাষ্ট্রপতি।

অধ্যাদেশে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয়ে সরকারের ক্ষমতা শিরোনামে ৩৪(ক) ধারা যুক্ত করা হয়। ওই ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে, জনস্বার্থে, কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহাদের উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহন ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করিতে পারিবে।’

পরে সংসদ বসলে অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হয়। মন্ত্রণালয় থেকে দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছিল গ্যাস, বিদ্যুৎ ও তেলের দাম। এটি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর