হাতীবান্ধায় ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

আপডেট: December 28, 2024 |
inbound7161021760216984330
print news

হাতীবান্ধা সংবাদদাতা : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

inbound5398951318967074827

তবে পরিবারের দাবী গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে প্রাইভেট পড়াতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের মধ্য গড্ডিমারী জুম্মাপাড়া এলাকা থেকে অপহরণের শিকার হয় ওই কলেজ ছাত্রী।

থানায় অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, উপজেলার মধ্য গড্ডিমারী গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে হাছানুর রহমান হাছান ওই স্কুল ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে যাতায়াত পথে দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা জানতে পেরে ভবিষ্যতে যেন আর উত্ত্যক্ত না করে এজন্য হাছানের বাবা খলিলুর রহমান, মা হাছিনা বেগম, ভাই হাবিবুর রহমান, বোন জোহরা বেগম ও মামা আনারুলকে বিষয়টি জানান।

বিষয়টি শুনে তারা বিবাহের প্রস্তাব দেন। কিন্তু ওই শিক্ষার্থীর বাবা এবং তার  পরিবারের লোকজন বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হননি।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপরোক্ত অভিযুক্তণ লোকমুখে বলে বেড়ায় যে তারা যেভাবেই হোক হাছানের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর বিয়ে দিবেন।

গত মঙ্গলবার সকাল ৮টায় প্রতিদিনের মতো মধ্য গড্ডিমারী জুম্মাপাড়া এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যায় ওই শিক্ষার্থী। পথিমধ্যে উপরোক্ত আসামীগণ ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক অটো ইজিবাইকে উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

অভিযুক্ত বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনারুল ইসলাম বলেন, হাছানুর আমার ভাগিনা হয়। আমি অপহরণের বিষয়টি জানিনা, আমার ভাগিনা মেয়েটিকে কিভাবে নিয়ে গেছে।

এখানে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এই অভিযোগের কারণে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

অভিযোগকারী ওই ছাত্রীর বাবা জানান, ৪দিন হয়ে গেল আমার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। আজবদি পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি।

আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই। তবে ওই স্কুল শিক্ষক ইচ্ছে করলেই আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে পারবে। সে সব জানে।

হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুন-নবী বলেন, স্কুল ছাত্রী অপহরণের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। মেয়েটি উদ্ধারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর