জাবিতে ছাত্রদলের অরাজকতা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ


জাবি প্রতিনিধি: ছাত্রদলের দুই পক্ষের বাকবিতণ্ডায় সংঘর্ষ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাংচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী চিশতী বলেন, অতীতে ছাত্রলীগ যেভাবে বেশক্তির ব্যবহার করে বর্তমানে আমরা ছাত্রদলের মধ্যে সেই পেশি শক্তির মাধ্যমে ক্যাম্পাসের ত্রাসের রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।
যা আমাদের জন্য হুমকি স্বরূপ। তারা ক্যাম্পাসের সম্পদ ভাঙচুর করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে। এর দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে। আমরা রাজপথে নেমে এই পেশিশক্তি ব্যবহারের জবাব দিব।
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী অন্বেষা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে আমরা বিভিন্নভাবে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য।
প্রশাসন এতে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয় নি। বরাবরই আমাদের দাবিকে উপেক্ষা করে গাফিলতির পরিচয় দিয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজকে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেখতে পাই।
প্রশাসনের অবহেলা আজকে আমাকদেরকে আবার সেই পূর্বের গণরুম-গেস্টরুম কালচারে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আমরা আমাদের জায়গা থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আইন ক্যাম্পাসের আইন দিয়ে অ ছাত্রদের বিচার করা সম্ভব নয় তাই ক্যাম্পাসে তাদের চলাফেরা বা রাজনীতি করা শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান শাহরিয়ার বলেন,আওয়ামী আমলে ছাত্রলীগ যে-রকম পেশিশক্তি ব্যবহার করে রাজনীতি করে গেছে আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের পর আবারো একটি শক্তি পেশিশক্তি ব্যবহার করে রাজনীতি করতে চাচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি একটি দল অছাত্রদের মাধ্যমে কমিটি করে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করে তারা আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম ভাঙচুর করেছে।
এ ধরনের অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে তারা শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি জাকসু নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, আমাদের জীবন থাকতে জাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবোনা।
আমরা জানিয়ে দিচ্ছি যদি আর কোন রাজনৈতিক দলকে শক্তির ব্যবহার করে রাজনীতি করতে আসে তাহলে আমরা আবারো সেই তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের ব্যবস্থা করব।