৮৫ জন নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরি ফেরত দেয়ার নির্দেশ

আপডেট: February 25, 2025 |
inbound8390592055304424567
print news

প্রায় ১৮ বছর আগে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরি ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে এই কর্মকর্তাদের সব সুযোগ-সুবিধাও ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

 

চাকরিতে বহাল করে তাদের সব সুযোগ সুবিধা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ৮৫ কর্মকর্তার মধ্যে মারা যাওয়া তিন কর্মকর্তার পরিবারকে আইন অনুযায়ী সব সুবিধা দিতে বলেছেন আপিল বিভাগ।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দেড় যুগ আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা চাকরিতে ফিরতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।

এসংক্রান্ত আপিল ও পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদনের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায়ের এই তারিখ দেন।

আইনজীবীদের তথ্য মতে, ২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়।

পরে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়ার পর ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ৮৫ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ৮৫ জন চাকরি ফিরে পেতে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা প্রশাসিনক আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ৮৫ কর্মকর্তার আপিল মঞ্জুর করে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের আদেশ দেন।

প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ চারটি আলাদা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে চেম্বার আদালত আবেদন চারটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।

পরে ২০১১ সালে সরকারপক্ষ আপিল করে। এসব আপিল মঞ্জুর করে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর রায় দেন আপিল বিভাগ। এই রায়ে ৮৫ জনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়।

সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে ২০২৩ সালে আবেদন পাঁচটি আলাদা আবেদন করেন চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা। এসব রিভিউ আবেদনের মধ্যে একটি রিভিউ আবেদনে শুনানির পর আপিল বিভাগ গত বছরের ৬ নভেম্বর আগের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) মঞ্জুর করে আপিলের অনুমতি দেন। এই আপিল ও আগের আরও চারটি রিভিউ আবেদনে শুনানির পর ২৫ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য রাখেন সর্বোচ্চ আদালত।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর