পারভেজ হত্যা মামলায় আরও এক আসামি চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার

আপডেট: April 24, 2025 |
inbound6566704336336871590
print news

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মাহাথির হাসানকে চট্টগ্রামের হালিশহর থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মামলার ছয়জন আসামিকে আটক করা হলো।

বুধবার সকালে হালিশহরের আজাদ টাওয়ার থেকে তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান। ২০ বছর বয়সী মাহাথির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়।

এর আগে একই দিন গাইবান্ধা থেকে মামলার প্রধান আসামি মেহরাজ ইসলাম এবং সোমবার কুমিল্লার তিতাস থেকে মামলার ৫ নম্বর আসামি হৃদয় মিয়াজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরও আগে রোববার রাতে বনানী থানা পুলিশ আটক করে মো. আল কামাল শেখ, আলভী হোসেন জুনায়েদ এবং আল আমিন সানিকে—তবে তারা কেউই মামলার এজাহারভুক্ত নন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও নন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাজধানীর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের ছাত্র পারভেজ ছুরিকাঘাতে নিহত হন। পরদিন তার চাচাত ভাই হুমায়ুন কবীর বনানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে আটজনের নাম উল্লেখসহ আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পারভেজ বন্ধুদের সঙ্গে একটি দোকানে বসে ছিলেন, সেই সময় হাসাহাসিকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয় মেহরাজসহ তিনজনের সঙ্গে। শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হলেও কিছুক্ষণ পর মেহরাজ ও তার দল অস্ত্রসহ ফিরে এসে পারভেজ ও তার বন্ধু তারিকুলকে মারধর করে এবং পারভেজের বুকে ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে।

মামলার আসামির তালিকায় রয়েছেন: মেহরাজ ইসলাম, আবু জর গিফারী পিয়াস, মাহাথির হাসান, সোবহান নিয়াজ তুষার, হৃদয় মিয়াজী, রিফাত, আলী ও ফাহিম। এর মধ্যে হৃদয় মিয়াজী ও তুষার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী ইউনিটের নেতৃস্থানীয় পদে ছিলেন।

ঘটনার পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে পারভেজকে ছাত্রদলের কর্মী দাবি করে সংগঠনটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তোলে। তবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের ফেইসবুক পেইজে সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ছাত্রদল মিথ্যাচার করছে এবং তাদের কোনো নেতা এই ঘটনায় জড়িত নন।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর