জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সবাইকে কাজ করতে হবে: আলী রীয়াজ


জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সবাইকে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বুধবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের এলডি হলে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নিজস্ব আদর্শ থাকবে। তবে মৌলিক জায়গায় আমাদের ঐকমত্য হতে হবে। শুধু কমিশনের কাজ নয়, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় সবাইকে কাজ করতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার বলেন, ১১৮টি সংস্কার প্রস্তাবে একমত নাগরিক ঐক্য। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় দলের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
এর পর বিকেল ৩টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (পীর চরমোনাই)।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য গত বছরের অক্টোবরে ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে স্প্রেডশিট আকারে পাঠানো হয় সুপারিশগুলো।
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ৫টি সংস্কার কমিশনের সেসব গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সেগুলো হলো- সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
এর পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।
৫টি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশ নিয়ে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলছে কমিশনের আলোচনা।
৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংস্কার বিষয়ে কমিশন ইতোমধ্যে ৩৫টি দলের থেকে মতামত পেয়েছে। এ পর্যন্ত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকি আলোচনায় অংশ নিয়েছে ২৪টি রাজনৈতিক দল। আগামী ১৫ মে এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা শেষ করবে কমিশন।