চীনের ৪৩ সেনা নিহত লাদাখ সীমান্তে!

বিরোধপূর্ণ কাশ্মীর অঞ্চলের লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন সেনাদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৪৩ জন চীনা সেনা নিহত হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় ভারতেরও অন্তত ২০ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

এএনআই’র বরাত দিয়ে জার্মানি ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতীয় সেনাদের মধ্যে একজন কর্নেল পদমর্যাদার অফিসারও রয়েছেন। তিনি বিহার রেজিমেন্টের অফিসার ছিলেন।

১৯৭৫ সালে অরুণাচল প্রদেশে ভারত-চীন সীমান্তের খুব কাছে চীনা বাহিনীর চালানো এক হামলায় ভারতের আসাম রাইফেলসের চারজন জওয়ান নিহত হয়েছিলেন। পঁয়তাল্লিশ বছর আগে সেটাই শেষবারের মতো ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘর্ষে সেনা সদস্যদের প্রাণহানির ঘটনা।

বেইজিং প্রশাসনের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের প্রধান সম্পাদক টুইট করে জানিয়েছেন, ‘চীনের সেনাও মারা গিয়েছেন।’ আর রিপোর্টার ওয়াং ওয়েনওয়েন টুইট করে বলেছেন, ‘চীনের পাঁচজন সেনা মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন ১১ জন।’

তবে চীনের সরকার বা সেনার পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এদিকে এএনআই’র দাবি, চীনের রেডিও ইন্টারসেপ্ট করে ভারতীয় সেনা জানতে পেরেছে অন্তত ৪৩ জন চীনের সেনা নিহত হয়েছেন। আহত বহু। আরও বেশ কিছু ভারতীয় সেনা আহত বলেও জানা গিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। লাদাখের গ্যালওয়ান উপত্যকায় দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। এক পক্ষ অন্যপক্ষকে লক্ষ্য করে পাথরও ছুড়তে থাকে। ঘটনায় প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু সৈন্য আহত হন। পরে দুই পক্ষের বেশ কিছু সেনার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিয়ে লাদাখ সীমান্তেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের সেনা কর্তারা।

ভারতীয় সেনা সূত্র জানাচ্ছে, চীনের সেনা গালওয়ানে পয়েন্ট ১৪-তে ভারতীয় এলাকায় ভিতরে ঢুকে টেন্ট খাটিয়েছিলেন। ভারতীয় সেনারা প্রহরা দেওয়ার সময় তা দেখতে পান এবং টেন্ট সরিয়ে দেন।  চীনের সেনারা ছিলেন পাহাড়ের ওপরে। তারা প্রথমে পাথর ছোড়ে। তারপর রড নিয়ে নেমে আসেন। শুরু হয় হাতাহাতি। দুই পক্ষেরই বেশ কিছু সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে।

যে জায়গায় হাতাহাতি হয়েছে, সেখানেই দিন কয়েক আগে দুই সেনার কম্যান্ডাররা বৈঠক করেছিলেন। ভারতীয় এক সেনা অফিসার বলেছেন, ‘চীন সম্ভবত পরিকল্পনামাফিক এই কাজ করেনি। কিন্তু তারা ভাবতে পারেননি, ভারতীয় জওয়ানরা নিজেদের এলাকা রক্ষার জন্য এইভাবে ঝাঁপাবেন।’

বৈশাখী নিউজজেপা