ওসি প্রদীপসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ

আপডেট: August 13, 2020 |
print news

কক্সবাজারের মহেশখালীতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবদুস সাত্তার নিহতের ঘটনায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে করা হত্যা মামলাটি তদন্ত করার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার মহেশখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এই আদেশ দেন।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন-মহেশখালী থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশীদ ও ইমাম হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মনিরুল ইসলাম, শাহেদুল ইসলাম ও আজিম উদ্দিন। মামলায় প্রধান আসামি ফেরদৌস বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস (৫৬)। প্রদীপ কুমার দাশ ২৪ নম্বর আসামি।

মামলার বাদী হামিদা আক্তার জানান, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ফেরদৌস বাহিনীর সহায়তায় হোয়ানকের লম্বাশিয়া এলাকায় তার স্বামী আবদুস সাত্তারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়নি। অবশেষে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন তিনি। রিট পিটিশন নং-৭৭৯৩/১৭ মূলে ‘ট্রিট ফর এফায়ার’ হিসেবে গণ্য করতে আদেশ দেন বিচারক।

আদালত সূত্র জানায়, হামিদা বেগমের করা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ৭ জুন আদেশ দেন। এতে বলা হয়, হামিদা বেগম এজাহার দাখিল করলে মহেশখালী থানার ওসিকে তা তাৎক্ষণিক গ্রহণ করতে হবে। এই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

অন্যদিকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র সচিবের (জননিরাপত্তা বিভাগ) পক্ষে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ১৩ মে আপিল বিভাগ আদেশ দেন। এতে রুল ইস্যু না করে এজাহার গ্রহণ করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে ওই রিটটি মোশন (নতুন মামলা) হিসেবে নতুন করে শুনানি করতে বলা হয়।

ঐ সময় হাইকোর্টের রিট পিটিশনকারী অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক খোকন জানান, উচ্চ আদালত থানায় মামলাটি করার নির্দেশ দেন। কিন্তু পুলিশের আইজিপির পক্ষ থেকে আদেশের স্থগিতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা স্থগিত করেন উচ্চ আদালত।

জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, ‘হামিদার মামলাটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। আর পুলিশের করা মামলাটি তদন্ত করার জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেন আদালত।’ ওসির দাবি, আবদুস সাত্তার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত অস্ত্র ব্যবসায়ী। বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার আগে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্রসহ তিনটি মামলা ছিল। পরে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, হত্যা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক তিনটি মামলা করে। অস্ত্র ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার দুটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি হত্যা মামলাটি তদন্তাধীন আছে। মামলাটি এখন তদন্তের জন্য সিআইডির কাছে পাঠানো হবে।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর