বিরাটের কাছে ফিট থাকার রহস্য জানতে চাইলেন মোদি

আপডেট: September 24, 2020 |
33
print news

ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টের প্রথম বর্ষপূর্তিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের ফিটনেস আইকনদের সঙ্গে অনলাইনে আলোচনা করেন তাদের ফিট থাকার রহস্য নিয়ে। আমিরশাহির টিম হোটেল থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। যুব সমাজের কাছে উদাহরণ তুলে ধরার উদ্দেশ্যে মোদি কোহলির কাছ থেকে তার অক্লান্ত থাকার রহস্য জানতে চান। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কিছু আগ্রহও নিরসন করেন আরসিবি দলনায়ক।

মোদি বিরাটকে প্রশ্ন করনে, ‘এখনকার দিনে ক্রিকেটে ইয়ো ইয়ো টেস্টের কথা শোনা যায়। এটা কি ক্যাপ্টেনকেও মেনে চলতে হয়? নাকি তুমি ছাড় পেয়ে যাও? ইয়ো ইয়ো টেস্ট আসলে কী?’

জবাবে কোহলি বলেন, ‘ফিটনেসের দিক দিয়ে ইয়ো ইয়ো টেস্ট অত্যন্ত জরুরি। যদি বিশ্বের অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে তুলনা করি, তবে আমাদের ফিটনেস লেভেল এখনও কিছুটা নিচে রয়েছে। আমরা ফিটনেস লেভেল পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। ফিটনেস এখন প্রাথমিক প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। টি-২০ ও ওয়ান ডে ম্যাচ একদিনে শেষ হয়ে যায়। তবে যদি টেস্ট খেলতে হয়, টানা পাঁচদিন মাঠে নামতে হবে। দিনের খেলা শেষ করে পরের দিন ফ্রেশ হয়ে মাঠতে নামা দরকার। আমাদের কাছে স্কিল চিরকাল ছিল। তবে আমার উপলব্ধি, ফিটনেসের খামতি ছিল কোথাও। তাই যখন দলের কাউকে দরকার থাকত, ঠিক সেই সময়েই তাকে ক্লান্ত দেখাত। ফলে অন্য দল জিতে যেত। এখন আমাদের বোলাররা বিশ্বের অন্যতম সেরা। ওরা ম্যাচের তৃতীয়-চতুর্থ দিনেও নিজেদের সেরাটা দিতে পারে।’

এ প্রসঙ্গে বিরাট আরও বলেন, ‘সবার আগে আমিই অংশ নিই (ইয়ো ইয়ো টেস্টে)। এটাই শর্ত যে, যদি আমি ইয়ো ইয়ো টেস্টে ফেল করি, তবে আমাকেও দলের বাইরে চলে যেতে হবে। এই সিস্টেম ও কালচার সেট করা দলের জন্য দরকারি ছিল। এতে দলের সার্বিক ফিটনেস লেভেল বজায় থাকে।’

পরে ভারত অধিনায়কের কাছে মোদির প্রশ্ন, ‘তোমার টাইম ম্যানেজমেন্ট সবসময় উদাহরণযোগ্য। তুমি এত ব্যস্ত থাক, তবু তার মধ্যেও তোমাকে সক্রিয় দেখায়। এটা আমিও লক্ষ্য করি। কখনও ক্লান্ত লাগে না তোমার?’

কোহলির উত্তর, ‘শারীরিক পরিশ্রম করলে ক্লান্তি সবার আসে। তবে যদি আপনার লাইফস্টাইল ভালো হয়। যদি স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করেন, যদি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, যদি ঘুমোনোর সময় যথাযথ হয়, তবে দ্রুত ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠা যায়। আমি যদি ক্লান্ত হয়ে পড়ি এবং মিনিট খানেক পরেই আমাকে তৈরি হতে হয়, তবে আমার লাইফস্টাইলের ওপর সেটা অনেকটা নির্ভর করে।’

শেষে প্রধানমন্ত্রী বিরাট, অনুশকা ও উভয়ের পরিবারকে আসন্ন শুভ মুহূর্তের জন্য শুভেচ্ছা জানান।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

বৈশাখী নিউজজেপা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর