ফিটনেস ধরে রাখতে হাটতে হবে
![](https://www.boishakhinews24.net/wp-content/uploads/2020/10/হাটতে-হবে.jpeg)
হাঁটা এক ধরনের ব্যায়াম । প্রতিদিন হাঁটায় ওজন কমাসহ অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যারা জিমে যেতে পারেন না বা কঠোর ব্যায়াম করতে পারেন না তাদের পক্ষে ফিটনেস এবং সুস্থ থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো হাঁটা। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খাওয়ার পর হাঁটা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করতে পারে।
একজন মানুষের প্রতিদিন কতটুকু অনুশীলন করা উচিত তা নিয়ে বিভিন্ন নিয়ম ও প্রস্তাবনা রয়েছে। আমেরিকান হার্ট আপনার প্রতিদিন কী পরিমাণ অনুশীলন করা উচিত তা সম্পর্কে বিভিন্ন নিয়ম এবং প্রস্তাবনা রয়েছে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটার মতো মাঝারি ও তীব্র এরোবিক অনুশীলনের পরামর্শ দিয়েছে।
তারা জানিয়েছে, প্রতিদিন ২১ মিনিট মাঝারি গতিতে হাঁটা হৃদরোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্য ও ওজন হ্রাস করতে উৎসাহ দেয়।
এটি বলা যায় যে দিনের যেকোনো সময়ই হাঁটা শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত কার্যকরী। তবে খাবারের পরে হাঁটলে ওজন কমাতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যাদের বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা রয়েছে তারা স্বাস্থ্য জটিলতা প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন হাঁটতে পারেন।
আমরা যদি একদিনে সমস্ত ক্যালোরি খরচ করি তাহলে বিপাক ব্যবস্থা দ্রুত করে। প্রতিদিন বাড়ির অভ্যন্তরে হাঁটাহাঁটি করে এবং কাজ করে যে ক্যালোরি খরচ হয় তার ওপর নির্ভর করেই আমাদের স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হয়। ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন আরো ক্যালোরি খরচ করা। তার জন্য সাধারণ কাজ কর্ম ও হাঁটাহাঁটির পাশাপাশি বাড়তি সময় হাঁটার জন্য নির্ধারণ করতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে আরও বেশি করে চলাফেরা করলে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
নিয়মতি কাজকর্ম শুধুমাত্র ওজন কমাতেই সাহায্য করে না বরং তার পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা পরিচালনা করতে সহায়তা করে। ২০১৬ সালে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন খাবারের পর দশ মিনিট হাঁটা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে শর্করার পরিমাণ হ্রাস করতে সহায়তা করে। দিনের অন্য সময় ৩০ মিনিট হাঁটার চেয়ে খাওয়ার পর দশ মিনিট হাঁটা বেশি উপকারী।
সঠিকভাবে হাঁটাচলা রক্তে শর্করা ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। আপনি যখন হাঁটা বা কোনোরকম অনুশীলন করেন তখন আপনার হার্টের মাত্রা বেড়ে যায় এবং আপনার পেশিগুলো শক্তির প্রাথমিক উৎস হিসেবে কার্বোহাইড্রেট বা চিনি পছন্দ করে। রক্তে সঠিকভাবে শর্করার মাত্রা পরিচালনা করলে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
বৈশাখী নিউজ/ফারজানা