এরফানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা দিপু রিমান্ড শেষে কারাগারে

আপডেট: November 3, 2020 |
print news

এরফান সেলিমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবি সিদ্দিকী দিপুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত ।রাজধানীর কলাবাগানে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে ।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুই দফায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে দিপুকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মবিনুল হক। দিপুর পক্ষে তার আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৭ অক্টোবর দিপুর তিন দিন এবং ৩১ অক্টোবর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লার তিন দিনের রিমান্ড শেষে ফের দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর আগে ২৬ অক্টোবর হাজী সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ২৮ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে কলাবাগান এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়িটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ওয়াসিফ সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন এরফানের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা গাড়ি থেকে নেমে ওয়াসিফকে কিল-ঘুষি মারেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ সময় ওয়াসিফের স্ত্রীকেও গালিগালাজ করা হয়।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

 

 

বৈশাখী নিউজ/ ফাজা

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর