পুঁজিবাজারে কমেছে সূচক ও লেনদেন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের শেয়ারবাজারে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও বিপরীত চিত্র দেখা গেছে ব্যাংক খাতে। এদিন বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ার দাম বেড়ে যাওয়ায় বড় পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শেয়ারবাজার। তবে দু’দিন বাড়ার পর বড় পতনের মধ্যে পড়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড। সেই সঙ্গে বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেরও দরপতন হয়েছে।

এদিন লেনদেনের শুরুতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। যা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে দিনের লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার ডিএসইতে লেনদেন শুরুর ২৫ মিনিটের মাথায় প্রধান মূল্য সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর ব্যাংকের কল্যাণে সূচক কিছুটা বাড়ে। তবে অন্য খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর দরপতন হওয়ায় তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

লেনদেনের শেষদিকে এসে বস্ত্র ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পতনের হার বেড়ে যায়। ফলে দিনের লেনদেন শেষে তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে একটিও দামবৃদ্ধির তালিকায় স্থান করে নিতে পারেনি। আর বস্ত্র খাতের ৫৮টির মধ্যে মাত্র ১২টির দাম বেড়েছে।

বস্ত্র কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পতনের মধ্যে দাম বাড়ার তালিকায় দাপট দেখিয়েছে ব্যাংক। তালিকাভুক্ত ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে ২০টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭টির। আর সব খাত মিলে এদিন ডিএসইতে ২৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৮টির। আর ১১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৩ পয়েন্টে নেমে গেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৪০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ২ হাজার ৬৯ কোটি ৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৩২৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এনআরবিসি ব্যাংকের ৫৫ কোটি ৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪৭ কোটি ৩ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স।

এছাড়া, লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লুব-রেফ বাংলাদেশ, ফরচুন সুচ, ন্যাশনাল ফিড, প্রগতী ইন্স্যুরেন্স, গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং ওরিয়ন ফার্মা।

এদিকে, সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক কমেছে ৬৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ৩০৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৯৮টির দাম কমেছে এবং ১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বৈশাখী নিউজ/ ইডি