বনায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিবেশ উপমন্ত্রীর
পরিবেশ সুরক্ষায় বনায়নসহ পরিবেশবান্ধব কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিকভাবে এখন অগ্নুৎপাত হচ্ছে, সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে, সুন্দরবনের কিছু অংশ ডুবে যাওয়ায় আয়তন কমে গেছে। সবদিক থেকে পরিবেশের ওপর বিপর্যয়কর অবস্থা ঠেকাতে আমাদের সবাইকে একযোগে সচেতন হতে হবে।’
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পরিবেশ উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ ক্লাব বাংলাদেশের চিফ মেন্টর ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্কুল অব আর্টসের ডীন প্রফেসর ড. মো. ওসমান গনী, আরএফএল গ্রুপের টেল প্লাস্টিকসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ কামরুল হাসান, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের গবেষণা কর্মকর্তা গাজী মো. নাজমুল হোসেন ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
ক্লাবের কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা উপস্থাপন করেন ক্লাবের সচিব ও মুখপাত্র রাকিবুল ইসলাম। এ সময় পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ অবদানের জন্য সারাদেশ থেকে ৭ জন সংগঠককে ‘পরিবেশ বন্ধু’ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বাঘ গণনায় অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করে পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, বাঘের গায়ের ডোরা ডোরা দাগগুলো ভিন্ন ভিন্ন রকম হয়, যেমন আমাদের একজনের ফিঙ্গার প্রিন্টের সাথে অন্যজনের ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলে না। অথচ কেউ কেউ বলেন, বাঘ গণনার দরকার কি? বাঘ রক্ষায় এটা অবশ্যই প্রযয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, গাছ কাটলে পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়, সেটা আমরা সবাই জানি। তবুও আমরা পরিবেশ দূষণ করছি। অথচ আমাদের বেশী বেশী করে গাছ লাগানো উচিত। শিল্পোন্নত দেশগুলোর অধিকমাত্রায় কার্বন নিঃসরণের কারণে বৈশ্বিক পরিবেশ আজ হুমকির মুখোমুখি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এককভাবে এই হুমকি থেকে আমাদেরকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবেই এই হুমকি মোকাবেলা করতে হবে।