আক্কেলপুরে স্ত্রীকাণ্ডে আলোচিত ইউএনও কে ওএসডি করা হয়!

আপডেট: September 29, 2023 |
inbound6673910586686216533
print news

দেব্রত মন্ডল, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামকে স্ত্রীকাণ্ডে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ইউএনওর ওএসডির বিষয়টি সঠিক বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সালেহীন তানভীর গাজী।

তিনি আরো বলেন আক্কেলপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পদে পদোন্নতি পেয়ে আসছেন মনজুরুল আলম।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামকে পুণরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সিনিয়র সহকারী সচিব) পদে নিয়োগ করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সন্তান ও স্ত্রীর মর্যদা পেতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলামের কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন দিনাজপুরের কলেজিয়েট গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক জিনাত আরা খাতুন ।

এ ঘটনার জের ধরে গত বুধবার স্ত্রী ও সন্তানের মর্যাদা পেতে দুপুরে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সরকারি বাসভবনে এসে তার সাথে দেখা করার চেষ্টা করেন।

এসময় তার নিরাপত্তা কর্মী আনসার সদস্য এবং ইউএনও তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তার সাথে আসা পরিবারের সদস্যদের হেনস্তা করে বাহিরে বের করে দেন।

এর পরেই তিনি ইউএনওর কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন সন্তান ও স্ত্রীর মর্যাদা আদায়ের লক্ষ্যে।

জিনাত আরা খাতুন কলি জানায়, দিনাজপুর সদরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে একটি জমি খারিজ করতে গিয়ে তার সাথে ২০১৯ সালে প্রথম সাক্ষাৎ হয় (বর্তমান আক্কেলপুর ইউএনও’র)।

পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পকের্র এক পর্যায়ে ২০২১ সালে বিয়ে হয়। সে সময় আরিফুল ইসলাম তার পূর্বের বিয়ের বিষয়টি গোপন করেন। তাদের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘রাস্তায় অবস্থান কালে উপজেলা চেয়ারম্যান, আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র, আক্কেলপুর উপজেলা সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আমার কথা শোনেন।

এরপর সন্ধ্যায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমাকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই। আমার আগে একটি সংসার ছিল। আমি ইউএনওর সংসার করব।’

স্ত্রীকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও আরিফুল ইসলাম বলেছিলেন, সে (জিনাত আরা খাতুন) ব্ল্যাকমেইল করে আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল।

এখন আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। সে সিনক্রিয়েট করার জন্য এখানে এসেছিল। এটা ব্যক্তিগত বিষয় ছিল। আমি আইনগতভাবে সমাধান করেছি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর