বগুড়ায় জামায়াত কর্মী খুনের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেফতার

আপডেট: April 9, 2025 |
inbound1606086957066887809
print news

শাহজাহান আলী, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুরের কাবিল উদ্দিন নামের জামায়াতের এক কর্মীকল পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম আজমকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিয়ে দিয়েছে স্হানীয় জনতা।

০৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী বটতলা বাজার এলাকা থেকে গোলাম আজমকে আটক করা হয়।

আটকৃত স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা মোঃ গোলাম আজম উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী কলোনি গ্রামের সহিদুল ইসলাম প্রামাণিকের ছেলে।

পাশাপাশি একই ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম আজম।

এর আগে নিহতের বাবা শাহজাহান আলী বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অজ্ঞাত আরো অনেককে আসামী করা হয়।
শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) রবিউল ইসলাম এই তথ্য নিশিত করে জানান,মঙ্গলবার রাতে কাবিল উদ্দিন (৩৯) কে মুঠোফোনে পাশ্ববর্তী গাড়ীদহ ইউনিয়নের হাটগাড়ি গ্রামস্হ একটি বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযুক্তরা কাবিল উদ্দিনের হাত- পা বেঁধে ফেলেন। সেইসঙ্গে বাড়ির পাশের একটি নাঠে নিয়ে বেধঢক মাড়পিট করে।

এতে কাবিল রক্তাক্ত জখম হন।একপর্যায়ে আশাস্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্হানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কবিলকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরদিন রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে কাবিল উদ্দিন পেশেয় একজন ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি।

এভাবে তাঁকে খুন করা হবে যা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না স্হানীয় গ্রামবাসী।তাঁদের দাবি, প্রতিবেশি সজিরের পরকীয়ার ঘটনা জেনে যাওয়া এবং বাধা দেওয়ার জের ধরেই কাবিলকে খুন করা হয়েছে।

আফসার আলী আব্দুল হাইসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন,কাবিল উদ্দিন সাধারণ নিরীহ একজন মানুষ।তাঁর কোনো শত্রু ছিলো না।

তিনি সব সময় মানুষকে ভালো কাজের জন্য আহবান জানাতেন।সিটিই তার কাল হলো।বেশকিছু দিন আগে তার প্রতিবেশি বেল্লালের ছোট ভাই সজিব। সে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকটয়ায় লিপ্ত হয়।

ঘটনাটি জানার পর তাদের দু’জনকেই ভালো হওয়ার উপদেশ দেন।এতে ক্ষিত হয়ে ওঠেন সজিব ও তার লোকজন।

এমনকি পরিকল্পনা মাফিক মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে তাঁকে হত্যা,করা হলো বলে জানান তারা।

নিহত কাবিল উদ্দিনের স্ত্রী শাপলা খাতুন বলেন,তার স্বামীর কোনো দোষ ছিল না। তাই যারাই তার স্বামীকে খুন করেছে, তাদের বিচার ও ফাঁসির দাবি করেন তিনি।

উপজেলা জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি রেজাউল করিম বাবলু বলেন,নিহত কাবিল উদ্দিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন কর্মী।

এভাবে তাকে খুন করা হবে তা মেনে নিতে পারছিনা। তিনি হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের সব আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানান।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম এর নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত গোলাম আজম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা সম্পর্কে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন।

এজন্য ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ বুধবার দুপুরের পর তাকে বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর