সিলেটে বাটার শোরুম লুটে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণ গ্রেপ্তার


সিলেট নগরের দরগাগেট এলাকায় অবস্থিত বাটার শোরুমে সম্প্রতি সংঘটিত লুটপাটের ঘটনায় ইশতিয়াক নূর চৌধুরী নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, ঘটনার সময় তিনিই প্রথম লুটপাট শুরু করেন এবং পুরো ঘটনাকে উসকে দেন।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সিলেট মহানগরের বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ইশতিয়াকের বাবা মনিরুজ্জামান চৌধুরী সিলেটের সুবিদবাজার এলাকার একজন আওয়ামী লীগ নেতা। তবে তিনি দলে কী পদে রয়েছেন, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার সময় বাটার শোরুমে ভাঙচুর চলছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে ইশতিয়াক ব্যাগে করে জুতা ভরে নিয়ে যেতে শুরু করেন। তার এই কাজের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা পুলিশ তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হয়ে ওঠে। সিসিটিভি ফুটেজ ও ভাইরাল ভিডিও বিশ্লেষণ করে পুলিশ তাকে শনাক্ত করে এবং আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করে।
গত সোমবার গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে সিলেট নগরে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ মিছিলের সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় নগরের অন্তত ১৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়। হামলার সময়কাল ছিল বিকেল ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নগরের বিভিন্ন এলাকায় আরও কিছু প্রতিষ্ঠানেও বিচ্ছিন্নভাবে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়েছে।
এই সহিংসতার ঘটনায় বাটা, ডমিনোজ পিৎজা ও রয়্যাল মার্ক হোটেল কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালি মডেল থানায় পৃথক তিনটি মামলা করে। এসব মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১,৭৪০ জনকে আসামি করা হয়। ইতোমধ্যে পুলিশ ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে ইশতিয়াক অন্যতম।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক জানান, “সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ইশতিয়াকই প্রথম ব্যক্তি যিনি জুতা লুট করেন। এরপর অন্যান্যরা তাকে অনুসরণ করে।” তিনি আরও বলেন, “অন্য অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, লুট ও হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে ভিডিও বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান কাজে লাগানো হচ্ছে।