বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী : স্পিকার

আপডেট: September 28, 2021 |

“বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা” এ কথা বলেছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ‘স্বপ্নের রূপকার’ নামক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার এ কথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের আবাসন প্রকল্পের প্রশংসা করেন স্পিকার।

তিনি বলেন, “সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর পার্বত্য শান্তিচুক্তি, পানি বণ্টন চুক্তি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য চুক্তি তিনি করেছিলেন। যার কারণে আজ দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছে। উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে শক্ত ভীত রচনা করতে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদন ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তাঁর রাজনীতির মূল দর্শন।”

“দীর্ঘ দুর্গম সংগ্রামী জীবন পাড়ি দিলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি। ১৯৪৭এ জন্মের পর থেকে তিনি রাজনৈতিক আবহে বড় হয়েছেন। তাঁর পিতা-মাতা দু’জনই ছিলেন রাজনৈতিকভাবে বিচক্ষণ ব্যক্তিত্ব। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের ইতিহাসকে ভিন্নপথে পরিচালিত ও স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়। ১৭ মে ১৯৮১ স্বজনহারার বেদনা বুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, স্বৈরশাসনের অবসানের সংগ্রাম, সংবিধান লংঘনের মাধ্যমে হারানো গণতন্ত্র পুনরূদ্ধার, আইনের ঊর্ধ্বে থাকা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ কার্যকর করার মাধ্যমে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য নেতৃত্ব দিয়েছেন।” বলেন স্পিকার।

শিরীন শারমিন চৌধুরী আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র বিশ্বের নিকট বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিকভাবে আজ উন্নয়ন বিস্ময়। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, অর্থনৈতিক সূচকে প্রবৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি, পায়রা বন্দর নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, মানবসম্পদসহ আজ দেশের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন বিস্ময়কর। অতিসম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ কর্তৃক এসডিজি প্রগ্রেস এওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন।”

স্পিকার বলেন, “শেখ হাসিনা তাঁর পিতার মতো এ দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালবাসেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যে অপূর্ণ স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, সে স্বপ্নের বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বেই প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশ।”

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন ও তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস

বৈশাখী নিউজ/ এপি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর