তাইওয়ানের বন্দর ঘেরাও করতে চলেছে চীন!

আপডেট: November 9, 2021 |

মাওয়ের ‘লং মার্চ’-এর পর তাইওয়ানে আশ্রয় নেয় বিধ্বস্ত কুওমিনটাং তথা চীনা জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থকরা। তারপর থেকেই চিয়াং কাই শেখের নেতৃত্বে নিজেকে গড়ে তোলে দ্বীপরাষ্ট্রটি। আর আজও তা দখল করতে মরিয়া চীন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমলে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে দেশটি।

এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে দিয়ে রেডআর্মি তাইওয়ানের সমুদ্র ও বিমানবন্দরগুলোকে ঘেরাও করতে পারে বলে আশঙ্কা।

মঙ্গলবার ক্রমবর্ধমান চীনা হামলার সম্ভাবনা নিয়ে এক বিবৃতি জারি করে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, দ্বীপরাষ্ট্রটির সমুদ্র ও বিমানবন্দরগুলোকে ঘেরাও করতে সক্ষম চীনের রেডআর্মি।

এমনটা হলে চরম বিপদে পড়বে দেশটি। কারণ সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে গেলে রসদ, হাতিয়ার ও ওষুধ আমদানি করতে পারবে না তাইওয়ান। শেষমেশ আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনও পথ থাকবে না তাদের কাছে। তবে পড়শি দেশটির আস্ফালনের জবাব দিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন।

তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তাইওয়ান একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রয়োজনে লড়াই হবে।

বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চীন। তবে বেইজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি।

গত শুক্রবার সেই আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে এক বিবৃতি জারি করে চীনের তাইওয়ান বিষয়ক দপ্তর। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়, স্বশাসিত অঞ্চলটির যে সমস্ত রাজনীতিবিদ তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলবেন তাদের অপরাধী তকমা দেয়া হবে। তাদের কোনওদিন চীনের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। সেখানে তাদের কোনো ব্যবসাও করতে দেয়া হবে না।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, আফগানিস্তান নিয়ে মার্কিন যুকক্তরাষ্ট্র বেসামাল। ভারত, রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলি আপাতত তালেবানের গতিবিধি নিয়ে ব্যস্ত। এটাই তাইওয়ানের ওপর চাপ তৈরির মোক্ষম সুযোগ। কারণ মার্কিন মদত ছাড়া লালফৌজের সামনে তাইওয়ান দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু সদ্য আফগানিস্তানে ২০ বছরের লড়াই শেষ করে চীনের মতো শক্তির সঙ্গে সংঘাতে নামতে চাইবে না ওয়াশিংটন। তাই এই সুযোগে তাইওয়ান দখল করার চেষ্টা চালাতে পারে বেইজিং। সূত্র: এনবিসি

বৈশাখী নিউজ/ ইডি

Share Now

এই বিভাগের আরও খবর