বায়ো-বাবলে থাকলে মনোযোগে বড় ধরনের ব্যঘাত ঘটে : বাবর আজম
বায়ো-বাবলে মাসের পর মাস থাকা কতটা কষ্টের, মনের ওপর কতটা প্রভাব পড়ে তা নিয়ে মতামতের শেষ নেই। এই যেমন ভারতের বিদায়ী কোচ রবি শাস্ত্রী বললেন, ‘বায়ো-বাবলে লম্বা সময় ধরে থাকলে ডন ব্র্যাডম্যানেরও গড় রান কমে যেত।’ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উড়তে থাকা পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমও যেন তার সঙ্গে সুর মেলালেন।
মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাবর ক্রমাগম বায়ো-বাবলে থাকার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে মুখ খুললেন। তার মতে, একসময় খেলোয়াড়রা বিরক্ত হয়ে পড়ে এবং তাদের মনোযোগে বড় ধরনের ব্যঘাত ঘটায়।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা এবার দ্বিতীয় ট্রফি ঘরে নেওয়ার পথে। যখন অন্যরা বায়ো-বাবলে থেকে ক্লান্তির কথা জানাচ্ছে, তখন পাকিস্তান কিভাবে এত প্রাণবন্ত হয়ে খেলছে, সেটা নিয়ে কৌতূহল থাকা স্বাভাবিক।
বাবর তা খোলাসা করলেন সবশেষ সংবাদ সম্মেলন। পাঁচ ম্যাচে চার হাফ সেঞ্চুরি করা পাকিস্তান অধিনায়ক বললেন, ‘দেখুন, পেশাদার ক্রিকেটে সবসময় উত্থান পতন থাকে। কিন্তু হ্যাঁ, ক্রমাগত বায়ো-বাবলে থাকার কারণে খেলোয়াড়রা বিরক্ত হয় এবং অস্বস্তিবোধ করে। আমরা এটা মোকাবিলা করেছি দলগতভাবে কাজ করে। পাকিস্তান দলে প্রত্যেকে একে অন্যকে সমর্থনের চেষ্টা করে।’
বাবর আরো বললেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে আপনাকে শিথিল থাকতে হবে এবং চাপ শোষণ করার জন্য তৈরি থাকতে হবে। কিন্তু কোনো কোনো সময় যখন কোনো কিছু ভালো না যায় তখন আপনার জায়গা প্রয়োজন হয় এবং সতেজ থাকতে তখন বাইরে যেতে হয়। তবে আপনি যদি বাবল নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা থেকে বের হতে না পারেন তাহলে সেটা আপনার মনে গেথে যাবে এবং আপনার পারফরম্যান্সের ওপর প্রভাব ফেলবে।’